কর্ম সৃষ্টি করাই আমাদের কাজ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্কঃ অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট পেশ করলেন বুধবার। আর এই বাজেট পেশের পরেই সংক্ষিপ্ত ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বাজেট কর্মসংস্থানমুখী। রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করাই সরকারের কাজ। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। তাঁকে ধন্যবাদ।
রাজ্যে এবার বিপুল কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। শুধু দেউচা-পাচামিতেই তিন লক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। বানতলায় ২.২৬ লক্ষ চাকরি হবে। বানতলায় চর্মশিল্প প্রকল্পে ইতিমধ্যে তিন লক্ষ চাকরি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আর্থিক সীমিত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যতটা পেরেছি সুবিধা দেওয়ার কাজ করেছি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকা সত্ত্বেও সরকারি কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করছি আমরা। আর্থিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সরকারি কর্মচারীদের ষষ্ঠ বেতন কমিশন তৈরি করেছিলাম। তার সুবিধা সরকারি কর্মীরা পেয়েছেন।
সরকারি কর্মচারীরা এর ফলে ব্যাঙ্কক কে ঘুরতে যেতে পারেন। দশ বছরে একবার মালয়েশিয়া যেতে পারেন। শ্রীলঙ্কায় যেতে পারেন, বাংলাদেশে যেতে পারেন। ভুটান যেতে পারেন। তাদের এসব সুযোগ রয়েছে। সামর্থ্য মতো সমস্তরকম সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি এটি কৃষক ও যুবদের জন্য বাজেট। এটা কর্মসংস্থানমুখী বাজেট। এখানে কোটি কোটি ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে। বিভিন্ন প্রকল্পে বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে এই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। কর্ম সৃষ্টি করাই আমাদের কাজ। সেই কাজ করেছে সরকার। সবাইকে ধন্যবাদ বাজেটে অংশ নেওয়ার জন্য।
রাজ্য সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ডিএ তিন শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি ১.৮৮ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৬০ বছর অতিক্রম করলেই তারা বার্ধক্য ভাতা পাবেন।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই লোকসভা নির্বাচন, তার আগে সাধারণ মানুষের মন জয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হল। যুব সমাজের দিকে এবার বিশেষ লক্ষ্য স্থাপন করা হয়েছে। যুব সমাজের জন্য ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত তরুণ-তরুণীদের ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। তার ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে। এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। এছাড়া এমএসএমই-তে প্রচুর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।