জাতীয় বিজ্ঞানদিবস : সি.ভি. রামন ও কিছু অজানা তথ্য
নিউজ ডেস্কঃ প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতে ‘জাতীয় বিজ্ঞানদিবস’ পালন করা হয়। ভারতমাতার কৃতি সন্তান সি.ভি.রামন ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর গবেষণার মূল তত্ত্ব অর্থাৎ ‘রামন এফেক্ট’ প্রথম প্রকাশ করেন। তারপর ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিষদের অনুরোধে প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় বিজ্ঞান দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এই বিজ্ঞানদিবস ও সি.ভি.রামন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য আমরা জানার চেষ্টা করবো এই প্রতিবেদনে।
১) ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি কমিউনিকেশন ও ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর ন্যাশনাল সায়েন্স ডে উদযাপিত হয়। মূলত দেশের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও রিসার্চ ল্যাবরেটরিগুলিতে এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়।
২) জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপনের প্রধান উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞান ও তার প্রয়োগের গুরুত্ব বোঝানো।
৩) এই দিন জনগনের উদ্দেশ্যে ভাষণ, রেডিও ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম, বিজ্ঞানের সিনেমা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও ডিবেট ও কুইজের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
৪) ১৯৮৬ সালে ভারত সরকারের কাছে ২৮ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করার আর্জি জানায় ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি কমিউনিকেশন।
৫) সরকারের তরফে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ও ২৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় প্রথম রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস।
৬) ১৯৫৪ সালে, ভারতের সর্বচ্চ নাগরিক সম্মান, ভারত রত্নে ভূষিত করা হয় সিভি রামনকে।
৭) ভৌত বিজ্ঞানে তাঁর অসামান্য কাজের জন্য ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার পান তিনি।
৮) এবছরের বিজ্ঞান দিবসের থিম ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাপ্রোচ ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফর সাস্টেনেবেল ফিউচার।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান মনস্কতা তৈরির জন্য বিভিন্ন আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে সি.ভি.রামনকে।