জাতীয় বিজ্ঞান দিবস – ২০২২ সালের থিমের তাৎপর্য
নিউজ ডেস্কঃ মানব সভ্যতার বিকাশের অন্যতম হাতিয়ার বিজ্ঞানের বিন্যাস। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান এমনই অপরিহার্য যে আমরা বিজ্ঞানের সহযোগিতা ছাড়া এক পাও এগোতে পারবো না। সেই বিজ্ঞানকে মানব জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত করার জন্যই ২০২২ সালে ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম করা হয়েছে – ”ইন্টিগ্রেটেড অ্যাপ্রোচ ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফর সাসটেইনেবল ফিউচার”। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীর জন্য একটি সংহত ভবিষ্যত তৈরির কথা মাথায় রেখেই এই থিম। এবং এই দুটির মধ্যে সমন্বয় তৈরি।
সিভি রামন আবিষ্কৃত ‘রামন ইফেক্ট’এর একটা স্থানিক ইতিহাস আছে। জানা যায়, ১৯২১ সালে ইউরোপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন স্যার সিভি রামন। তখন ভূমধ্যসাগরের জলের রং ট্রান্সপারেন্ট সারফেস নিয়ে গবেষণা শুরু তাঁর।
দীর্ঘ গবেষণার পর তিনি আবিষ্কার করেন ‘রামন এফেক্ট’। ওই আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার পান স্যার সিভি রামন। ১৯৮৬ সাল থেকে ভারত সরকার ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ন্যাশনাল সায়েন্স ডে হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে রামন এফেক্ট আবিষ্কারের বিষয়টি। এই দিনটিতে স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন ‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কারের বিষয়টি ঘোষণা করেন।
এখন প্রশ্ন, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী রামনের স্মরণে ২০২২ সালের থিমের তাৎপর্য কী? বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে পৃথিবীর জন্য একটা সুসংহত ভবিষ্যৎ তৈরি করা। এই বিজ্ঞানের সাহায্যে যেমন আমরা মানবজীবনের সুখ ও স্বাচ্ছন্দ এনেছি, ঠিক তেমনি এই প্রযুক্তির সাহায্যেই আমরা মানব সভ্যতার ধ্বংসের কথাও ভাবছি।
তার জ্বলন্ত উদাহরণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ‘হিরোশিমা’ ও ‘নাগাসাকির’ ঘটনা। এবার ভারত চাইছে শুধু মানব সভ্যতার একটা সুসংহত ভবিষ্যতের জন্যই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা। ভারতের বৈদিক সভ্যতা শান্তি প্রচারের সভ্যতা।ভগবান বুদ্ধ থেকে শ্রীচৈতন্য, বিবেকানন্দ, মহাত্মাগান্ধী – সকলেই শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। ২০২২ সালে জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে তাই এবারের থিম ‘ পৃথিবীর সুসংহত ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার’।