ত্রিপুরার সকলকে গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দেবার জন্য আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক : ত্রিপুরা ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এদিন সকালেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, “আমি ত্রিপুরার সকলকে ভোটারকে গণতন্ত্রের এই উৎসবে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করছি। আপনাদের প্রত্যেকটি ভোট সুশাসন, উন্নয়ন ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”
ভোটে ইতিমধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রধানত শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ বাম ও কংগ্রেসের। এদিন সকালে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। সাধারণ মানুষ আমাকে প্রশ্ন করছেন যে আমার সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে? চ্যালেঞ্জটা হল কংগ্রেস ও বামের জোট বেঁধেছে, এই জোট যেন শান্তি বজায় রাখে। আমি আমার দলের কর্মীদের বলেছি, ওরা (বিরোধীরা) প্ররোচনা দেবেই, ওদের কথায় পা দেবেন না৷ নির্বাচন কমিশন গোটা বিষয়টি দেখছে৷” তাঁর এই অনুরোধ তাঁর দলের কর্মীরা কতটা মেনে চলেছে তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ ইতিমধ্যে এক আহত বাম কর্মী হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন।
ইতিমধ্যে আমাদের সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর টুইট বার্তা। তিনি লিখেছেন,”গণতন্ত্রের এই উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য ত্রিপুরার সমস্ত মানুষদের আবেদন জানাচ্ছি। বিশেষ করে রাজ্যের যুব প্রজন্মকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।”
ত্রিপুরার ভোটে অশান্তি। বিভিন্ন বুথে অশান্তি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন, “একাধিক জায়গায় ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না, রাস্তা আটকে রাখা হচ্ছে। যদি নিজেরা ভোট দিতে না পারেন, তাহলে অন্য কাউকেও ভোট দিতে দেওয়া হবে না, এমনটাই দাবি তাদের।” যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে বিজেপি।
ত্রিপুরায় দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫২%।