MAHA SHIVRATRI 2023 : মহা শিবরাত্রির সময়সূচি ও নিয়মকানুন (২০২৩):
নিউজ ডেস্ক: মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালন করা হয় মহা শিবরাত্রি, দেবাদিদেব মহাদেব সকল ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ করেন ভক্তি ভরে তাঁকে পুজো করলে।
অর্থাৎ শিবরাত্রি হলো ভোলেনাথের আরাধনার মোক্ষম দিন। হিন্দু ধর্ম মতে শিব চতুর্দশীর মাহাত্ম্য অনেক। পুণ্যার্থীরা এদিন উপোস করে থাকেন এবং নানান রীতিনীতি পালন করেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি (পাশ্চাত্য মতে ১৯ ফেব্রুয়ারি, হিন্দু মতে সূর্যোদয় পর্যন্ত ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ গ্রাহ্য হবে) মাঝরাত ১২:৩৯ মিনিট থেকে ভোর ৩: ৪৩ মিনিট পর্যন্ত।
ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে সাধারণত শিবরাত্রির তিথি পড়ে। ২০২৩ সালে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার পড়েছে মহাশিবরাত্রির তিথি। ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬/৫/৩০ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘ: ৩/৩৮/৩৪ পর্যন্ত থাকবে শিব চতুর্দশীর তিথি।
শিবরাত্রি’ কথাটা দুটি শব্দ থেকে এসেছে। ‘শিব’ ও ‘রাত্রি’, যার অর্থ শিবের জন্য রাত্রী। শিবরাত্রির নিয়ে প্রচলিত আছে নানান কথা। পুরাণের কথা অনুযায়ী দেবী পার্বতীর সঙ্গে এদিন দেবাদিদেব মহাদেবের মিলন হয়। আবার শোনা যায় এদিন থেকেই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।
শাস্ত্রীয় মতানুসারে মহাশিবরাত্রির পুজোর শ্রেষ্ঠ সময় হল নিশীকাল। এই তিথিতে চার প্রহরে পুজো সম্পন্ন হয়। শাস্ত্র মতে মহাশিবরাত্রি তিথিতে সন্ধ্যা বেলা স্নানের পর শিবের পুজো করা উচিত। বিশ্বাস অনুযায়ী, ব্রত পালনের পূর্ণ ফল লাভের জন্য সূর্যোদয় থেকে শুরু করে চতুর্দশী তিথি সূর্য অস্ত হওয়ার মধ্যেকার সময় পর্যন্ত ব্রত সমাপ্ত করা উচিত। আবার কোনও কোনও ধারণা অনুযায়ী চতুর্দশী তিথি সমাপ্ত হওয়ার পর ব্রতভঙ্গ করা শ্রেয়।
শিবরাত্রির ব্রত পালন করার আগের দিন সংযম করতে হয়। এদিন সিদ্ধ চালের ভাত বা নিরামিষ খেতে হয়। এছাড়া কেউ চাইলে ময়দার তৈরি খাবারও খেতে পারেন। তবে সন্দক লবণ দিয়েই রান্না করতে হয়। এদিন সাধারণ লবণ খাওয়া চলে না। ব্রতের সমস্ত নিয়ম ঠিকঠাক পালন করলে বাবা ভোলানাথ নিশ্চয় ভক্তদের মনের ইচ্ছে পূরণ করেন।
উপরোক্ত বিষয়গুলো মানতে প্রতিদিন ২৪x৭ বাধ্য করেনা।নিজের বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন।