তিপ্রামোথার সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব হিমন্ত বিশ্বশর্মার

0 0
Read Time:4 Minute, 31 Second

নিউজ ডেস্ক::ত্রিপুরায় বিজেয় জয় খুব একটা সুখের হয়নি। যাকে বলে মসৃণ জয় সেটা একেবােরই হয়নি। কেন হল না তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কিন্তু এরই মাঝে গুরুত্বপূর্ণ খবর হল যে তিপ্রামোথাকে বিজেপি একেবারেই গুরুত্ব দিতে চায়নি। এবার সরকার গঠনের স্বার্থে সেই তিপ্রামোথার সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

তিপ্রামোথা। ত্রিপুরার রাজার পার্টি বললে ভুল হবে না। সেখানকার জনজাতি সম্প্রদায়ের হয়ে কথা বলেন তিনি। সেই তিপ্রামোথার কাছেই মাথা নোয়াতে হচ্ছে বিজেপিকে। রাজার কাছে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। উত্তর পূর্বের রাজ্যে বিজেপির জয়ের কারিগর বলা হচ্ছে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। যিনি সর্বতা হুঁশিয়ারির সুরে কথা বলেন তিনি হঠাৎ করে তিপ্রামোথার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন। সবটাই ক্ষমতার জন্য। হিমন্ত বুঝতে পেরেছেন ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে রাখতে হতে তিপ্রামোথাদের সঙ্গে হাত মেলাতেই হবে। তাই না চাইলেও ঢোক গিলতেই হচ্ছে তাঁকে।

উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যন্ডে বিজেপির জয়ের জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেই ভরসা করেছিল। সেই ভরসা তিনি রেখেছেনও। কিন্তু ত্রিপুরায় জিতলেও সেরকম ভাল ফল করতে পারেনি বিজেপি। বিজেপির জয়ের পর ত্রিপুরায় পা রাখবেন তিনি। তার আগে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, তিপ্রা মোথার সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিজেপি তবে একটি শর্ত রয়েছে গেরুয়া শিবিরের কিছুতেই তারা ত্রিপুরাকে ভাগ হতে দেবেন না। এদিকে তিপ্রামোথার কিন্তু একটিই দাবি পৃথক তিপ্রা ল্যান্ড। সেই দাবি কিন্তু মেনে নিতে রাজি নয় বিজেপি সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

ত্রিপুরার রাজনীতি হঠাৎ করে রাজার পার্টি বড় বেশি প্রাসঙ্গিত হয়ে উঠেছে। ২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে হঠাৎ করে ত্রিপুরার দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে তিপ্রামোথা। আদিবাসী জনজাতীর পুরো ভোটটাই নিয়েছে তিপ্রামোথা। আগেই অবশ্য রাজা সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাতে আমোল দেয়নি বিজেপি। এমনকী বাম-কংগ্রেসও তাতে গুরুত্ব দেয়নি। একমাত্র বিশ্বাস রেখেছিলেন রাজা। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিপ্রা সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা রাজার পাশে থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন অধিকােরর লড়াইয়ে তাঁরা পিছিয়ে নেই।

এদিকে রাজা প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা কিন্তু তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে অনড় রয়েছেন। এই তিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখেই ভোটে লড়েছেন তিনি। কাজেই বিজেপির সঙ্গে আলোচনায় যদি সেই তিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে বাদ দিতে হয় তাহলে কী ধাক্কা খাবেনা রাজার জনসমর্থণ। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে ত্রিপুরার যে রাজনৈতিক চিত্র ভোটের পর প্রকাশ্যে এসেছে তাতে তিপ্রামোথা যে অন্যতম ফ্যাক্টর তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!