ধর্মঘটে শামিল হওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা!
নিউজ ডেস্ক : ডিএ’র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডাকা ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়েনি! এমনটাই বিবৃতি দিয়ে জানাল নবান্ন। শুধু তাই নয়, ৯০ শতাংশ কর্মীই যে যার দফতরে কাজে যোগ দিয়েছেন বলেও দাবি করা হল ওই বিজ্ঞপ্তিতে। যদিও ডিএ’র দাবিতে ডাকা ধর্মঘট সফল বলেই জানিয়েছে রাজ্য সরকারি ইউনিয়নগুলি।
সরকারের ভয় উপেক্ষা করেই কর্মীরা কাজে যোগ দেননি বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও এই ধর্মঘট নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, মানুষ আর কর্মনাশা ধর্মঘট চায় না।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে ডিএ ফারাক ক্রমশ বাড়ছে! রয়েছে পাওনা ডিএ। ইতিমধ্যে মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকার বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি তা মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় গতকাল ধর্মঘটের পথে হাঁটেন সরকারি কর্মীরা। আর এই ধর্মঘটে একাধিক অফিসই খালি ছিল। অনেক জায়গাতেই কর্মীরা কাজে যোগ দেয়নি বলে দাবি। যদিও রাজ্যের দাবি সমস্ত দফতরেই ৯০ শতাংশ উপস্থিতি ছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নবান্নের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। যেখানে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যারা ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন তাঁদের বিরুধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এবং তা শীঘ্রই নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে। যদিও পালটা ধর্মঘটীরাও আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, শুক্রবারের ধর্মঘট নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, শুক্রবার সরকারি কর্মীরা কোনও ছুটি নিতে পারবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর সেই মতো কেউ যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকে তাহলে ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়াও যদি আগে থেকে কোনও কর্মী ছুটি নিয়ে থাকে তাহলেও ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে হঠাত ছুটি কোনও ভাবেই মঞ্জুর হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দেয় রাজ্য সরকারের। এরপরেও যদিও বিনা অমুনতিতে কেউ কাজে যোগ না দেয় তাহলে তাঁর বেতন কাটা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলেছে নবান্ন। এমনকি কর্মজীবনের মেয়াদও এক দিন কমবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এখন দেখার এই বিজংপতি মেনে সরকার কি ব্যবস্থা নেয়।