নিউজিল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্প বুধবার মধ্যরাতে
নিউজ ডেস্ক::ভূমিকম্প পৃথিবীকে ছাড়ছে না। প্রকৃতির প্রবল রোষে এখন মানুষ। ভূমিকম্প হয়েই চলেছে। নিউজিল্যান্ডের ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৭। নিউডিল্যান্ডের কেরমাডেক দ্বীপে এই ভূমিকম্প হয়েছে। চিনের আর্থকোয়ের নেটওয়ার্ক সেন্টারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিনের সময় রাত ৮.৫৬ তে এই ভূমিকম্প হয়। এদিকে এই ভূমিকম্পের পরেই সুনামি সতর্কতা জারির খবর পাওয়া গিয়েছে। ভূবিজ্ঞানীরা বলেন নিউজিল্যান্ড এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল। তাই ওখানে বেশ ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়।
তবে এবার ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল যথেষ্ট বেশি।
আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি নিচে। ৩০০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে এইসব দ্বীপগুলির বেশিরভাগই জনবসতিহীন। কিছু সময় পরে অবশ্য ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়। ওই ভূমিকম্প প্রবণ দ্বীপগুলোতে এমনিতেই সরকার জনবসতি গড়ে তুলতে দেয় নি। তা না হলে এই ভূমিকম্পের ফলাফল প্রায় তুরস্কের মতো হতে পারতো।
ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, নিউজিল্যান্ডের অজস্র ছোট ছোট দ্বীপ আসলে টেকটোনিক প্লেটের উপর অবস্থিত। ফলে ওই প্লেটের নড়াচড়ায় মাঝে মাঝেই ভূমি কেঁপে ওঠে। নিউজিল্যান্ড দুটি প্রধান টেকটনিক প্লেট প্যাসিফিক প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সীমানায় অবস্থিত। যে কারণে দেশটি ভূমিকম্প প্রবণ। এছাড়াও নিউজিল্যান্ড প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের একপ্রান্তে রয়েছে। প্রতিবছরই নিউজিল্যান্ডে বহু ভূমিকম্প হয়ে থাকে। বিশ্ববাসীর এখনো স্মরণে আছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প হয়েছিল।
রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৭.৮। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সিরিয়া ও তুরস্কের সীমান্তের কাছে তুরস্কের গাজিয়ানটপে। সেই প্রকৃতির রোষে তুরস্ক ও সিরিয়ার ৫০ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। সেই স্মৃতি এখনো মানুষকে আঘাত করে। তবে নিউজিল্যান্ডের ভূমিকম্পের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী কোনো হতাহতের খবর নেই।