মোদীকে চিঠি অধীরের
নিউজ ডেস্ক : রাহুল গান্ধী সরব হয়েছিলেন প্যান কার্ড ও আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের খরচ নিয়ে। এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন। তিনি তাঁর চিছিটে সংযুক্তিকরণে ১ হাজার টাকা ধার্য করেছে কেন্দ্র, তা নিয়ে একহাত নেন অধীর চৌধুরী।
প্যান কার্ড ও আধার কার্ড সংযুক্তিকরণে ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এই টাকা বাতিলের দাবিতে এদিন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা হিসেবে তিনি এই চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রীকে। একইসঙ্গে তিনি প্যান ও আধার কার্ড সংযুক্তিকরনের সময়সীমা বৃদ্ধিরও দাবি জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারির আগে যারা আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ করাননি, তাদের আগামী ২০২৩-এর ৩১ মার্চের মধ্যে এই সংযুক্তিকরণ করাতে হবে। সেটা না করানো হলে ৩১ মার্চের মধ্যে অকেজো হয়ে যাবে প্যান কার্ড। প্যান ও আধার কার্ড লিংকের জন্য সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল ১ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা।
যাঁরা ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারির আগে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ করাননি তাঁদের ১ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। এই জরিমানার পরিমাণ অস্বাভাবিক বলে বর্ণনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। এই বিপুল পরিমাণ টাকা জরিমানা হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে বোঝা হয়ে যাবে।
অধীর চৌধুরী বলেন, এভাবে গরিব মানুষের টাকা জরিমানা হিসেবে ধার্য করা যাবে না। অবিলম্বে এই নির্দেশ বাতিল করতে হবে। মোদীকে লেখা চিঠিতে অধীর চৌধুরী বলেন, ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ দরিদ্র। তাঁদের অনেকের কাছেই ইন্টারনেট পরিষেবা পর্যন্ত সহজলোভ্য নয়। আধার ও প্যান কার্ড সংযুক্তিকণে তাদের ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, প্যান কার্ড ও আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের নামে অসাধু চক্রও বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় হয়েছে। তারা সংযুক্তিকরণের নামে প্রতারণা করে চলেছে। সাধারণ মানুষ এর ফলে সমস্যায় পড়েছে। তাই অবিলম্বে এই নির্দেশ বাতিল হওয়া উচিত।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আরও দাবি, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আরও অন্তত ছ-মাস আধার ও প্যান কার্ড সংযুক্তিকরণের সময়সীমা বাড়ানো উচিত। আমার আবেদন এই সময়সীমা বাড়ানো হোক এবং আর্থিক জরিমানা তুলে দেওয়া হোক। সম্প্রতি সংযুক্তিকরণ নিয়ে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তার থেকেও বড় কথা এভাবে নাগরিকদের জরিমান করতে পারে কি না সরকার, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।