২ বছরের সাজা রাহুল গান্ধীর!
নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করল গুজরাতের সুরাতের আদালত। ২০১৯-এ ভোট প্রচারের গিয়ে রাহুল গান্ধী এই মন্তব্য করেছিলেন। তারপরেই রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এদিন আদালতের রায়ে রাহুল গান্ধীর ২ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। সাজা ঘোষণার সময় রাহুল গান্ধী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরেই রাহুল গান্ধী সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এই সাজা ঘোষণায় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হতে পারে।
বিজেপি বিধায়ক এবং পূর্ণেশ মোদী রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। রাহুল গান্ধী ভোট প্রচারে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন সব চোরেদের উপাধি কীভাবে মোদী হয়! কর্নাটকের কোলারে জনসভায় এই মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী। বিজেপি তারপর থেকেই রাহুল গান্ধীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করতে থাকে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
রাহুল গান্ধীর আইনজীবী যুক্তি দিয়েছেন, আদালতের কার্যক্রম শুরু থেকেই ছিল ত্রুটিপূর্ণ। সিআরপিসির ধারা ২০২-এর অধীনে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন। তিনি আরও যুক্তি দিয়েছেন, বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী নয়, এই মামলায় অভিযোগকারী হওয়া উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কেননা রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী।
আদালতের বিচারক দুবছরের সাজা শোনাতেই রাহুল গান্ধীর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। সেই সময় তা মঞ্জুর করা হয়। চিফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এইচ ভার্মার আদালত গত সপ্তাহে উভয়পক্ষের শুনানি শেষ করে এবং ২৩ মার্চ মানহানির মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে।
এদিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলে রাহুল গান্ধী। তার আগে সকালে সুরাতে পৌঁছন রাহুল। তাঁকে সুরাত বিমানবন্দরে স্বাগত জানান, গুজরাত কংগ্রেসের সভাপতি জগদীশ ঠাকুর, অমিত চাভদা, অর্জুন মোধাওয়াদিয়া, গুজরাত এআইসিসির ইনচার্জ রঘু শর্মা-সহ সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা।
এর আগে এই মামলায় নিজের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ২০২১-এর অক্টোবরে আদালতে হাজির হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
একদিকে যখন বিজেপির তরফে আদালতের রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে, ঠিক সেই সময় এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী শুধু দেশের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই নয়, দেশের বাইরে গিয়ে দেশ সম্পর্কে অপমানজনক কথা বলছেন। যদিও কংগ্রেসের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।