পাতাল পথে জুড়ছে কলকাতা – হাওড়া!
নিউজ ডেস্ক::আবারো জুড়তে চলেছে কলকাতা হাওড়া, দুই শহর। এবার আর সেতুপথে নয়, সুরঙ্গ পথে জুড়বে এই দুই জমজ শহর। অল্প কয়েকদিনের অপেক্ষা তারপরই শুরু হবে মহড়া দৌড়। সূচনা হবে নয়া এক ইতিহাসের।
স্বাধীনতার পূর্ব ১৮৭৪ সালে প্রথম ভাসমান সেতুর মাধ্যমে যুক্ত করা হয় কলকাতা – হাওড়া এই দুই যমজ শহরকে। এরপর বিস্তর আলোচনা ও বিতর্কের মাঝে সালটা ১৯৪৩ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় রাতের অন্ধকারে যাত্রীবিহীন ট্রাম চালিয়ে শুভ সূচনা হয় বিংশ শতাব্দীর সেই বিস্ময়ের। এরপর তৈরি হয় বিদ্যাসাগর সেতু। আবারো সংযুক্ত হতে চলেছে ব্রিটিশ উপনিবেশের রাজধানী কলকাতা হাওড়া দুই শহর। তবে হ্যাঁ, কোন সেতুর মাধ্যমে নয়। গোটা দেশ সাক্ষী থাকতে চলেছে নয়া এক ইতিহাসের। ভারতে এই প্রথম পাতাল পথে জুড়তে চলেছে ব্যস্ততম এই দুই শহর।
১৪৯ বছরের সেতু বিবর্তনের শেষ অধ্যায়, হুগলি নদীর তলদেশ দিয়ে গড়াবে মেট্রোর চাকা। দেশের মেট্রো শহর গুলির মধ্যে প্রথম কলকাতার মুকুটে জুড়তে চলেছে নয়াপালক। কাজ শুরু হয় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। ২০১৮ সালে ৬৬ দিনে হুগলি নদীর তলদেশ দিয়ে ৫০০ মিটার সুরঙ্গের কাজ শেষ হয়েছে। বউবাজার বিপর্যয়ের জেরে খানিকটা থমকে যায় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। জট কাটিয়ে প্রাথমিকভাবে হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ হয়ে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পথ চলা শুরু হবে এই ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা।
হুগলি নদীর জলস্তরের ১৩ মিটার নিচ দিয়ে তৈরি হয়েছে মেট্রোর সুড়ঙ্গ।
টানেলের উপর অংশ থেকে নিচের অংশের ব্যবধান ৬ মিটার।
গঙ্গা পক্ষ থেকে ১৯ মিটার নিচে পাতা হয়েছে মেট্রো লাইন।
গঙ্গাবক্ষের ক্ষয়ের হিসাব করে পাতা হয়েছে মেট্রোর লাইন।
১২০ বছরেও তা মেট্রো লাইনে কোনরকম ক্ষতি করতে পারবে না।
ইতিমধ্যে হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন মহাকরণ হয়ে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো রুটটির প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ সহ সমস্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে মহড়া। সল্টলেক ডিপো থেকে একটি রেক নিয়ে যাওয়া হবে শিয়ালদহে।রেকটিকে সেখান থেকে যান্ত্রিক উপায় টেনে নিয়ে যাওয়া হবে এসপ্ল্যানেডে। ছয় মাস চলবে ট্রায়াল রান। কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির অনুমোদনের পরই বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী নিয়ে গঙ্গার তলা দিয়ে ছুটবে মেট্রো রেল।