অভিষেকের সভা নিয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
নিউজ ডেস্ক::অভিষেকের সভা নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কলার ধরে পারমিশন করিয়েছেন, সভার পরে বিশৃঙ্খলা হলে রাজ্য অচল হয়ে যাবে। সন্ধে থেকেই টের পাবে শাসক দল এমনই হুঙ্কার দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শর্ত সাপেক্ষে শহিদ মিনারে সভার ছাড়পত্র দিয়েছে হাইকোর্ট। ডিএ আন্দোলনকারীরা শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা না করার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন।
আগামীকাল শহিদ মিনারে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইভোল্টেজ সভা। হাইকোর্টে শর্তসাপেক্ষে ছাড় মিলেছে সেই সভার। তারপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহিদ মিনারের সভা নিয়ে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, কলার ধরে পারমিশন নিয়েছে, সভার নামে বিশৃঙ্খলা হলে রাজ্য অচল করে দেওয়া হবে। সন্ধে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস সেটা বুঝতে পারবে। একুশের বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের অসংখ্য বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া হয়েছে। খুন হয়েছে অসংখ্য বিজেপি কর্মী। সেই খুনে শাসক দল পথে নামছে। বড় অশান্তির আঁচ পাচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগ রাস্তায় মিছিল করে িবজেপির কিষাণ মোর্চা। নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পালরা। এদিনের মিছিল থেকে কৃষকদের বঞ্চনা করছে রাজ্য সরকার এমনই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন রাজ্যে কৃষকদের প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। সেই টাকা কৃষকরা পাচ্ছে না। তাঁদের টাকা নিয়ে নয়ছয় করছে রাজ্য সরকার। সব কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৩-‘২৪ একটি টাকাও মিলবে না। বাংলায় ২৭ নম্বর ধারা জারি করা উচিত। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করুক কেন্দ্র, দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ডিএ আন্দোলনকারীরা। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সকালে তাঁদের মামলা করার আবেদন মঞ্জুর করেন। তারপরেই দুপুরে মামলার শুনানি হয়। তাতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে অভিষেকের সভার করার অনুমতি দিয়েছেন। ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার দুটি ব্যারিকেড করা হবে। বাঁশ এবং টিন দিয়ে ১০ ফুট উচ্চতার ব্যারিকেড তৈরি করতে হবে।
যে শর্তগুলি মানতে হবে তার মধ্যে দুটি পৃথক কর্মসূচি যেহেতু একটি জায়গায়। একটি সরকার বিরোধী আরেকটি শাসক দলের কর্মসূচি চলছে শহীদ মিনারে সেকারণে যাতে কোনও রকম অশান্তি না হয় তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলতে হবে শহিদ মিনার চত্ত্বর। কোনও রকম উস্কানি মূলক মন্তব্য মিছিল থেকে করা যাবে না। কলকাতার যুগ্ম কমিশনার ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্বে থাকবেন সভা শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালনা করার। সভা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে ফেলতে হবে সবকিছু।