রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী!
নিউজ ডেস্ক::সিঙ্গুরে রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামে গ্রামে ১২ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের সূচনা হল হুগলির কৃষক আন্দোলনের জন্য প্রসিদ্ধ সিঙ্গুর থেকে।
এই প্রকল্পে গ্রামে গ্রামে ১২ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরি, পুরনো রাস্তা সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে। এই প্রকল্পে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল শেষ রাজ্য বাজেটে। মঙ্গলবার সেই প্রকল্পেরই উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিনি উন্নয়ন দাঁড় করিয়ে দিলেন রাস্তায়।
এদিন প্রকল্পের উদ্বোধনে সিঙ্গুর দু-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর নেতাজি সঙ্ঘ থেকে আথালিয়া নবোদয় সঙ্ঘ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যো আপাধ্যায় নিজে এই ভিত্তিপ্রস্থরে ইট-বালি-সিমেন্টের গাঁথনি দিলেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের সূচনা করলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই প্রকল্পের ফলে রাজ্যে ২৯ হাদার ৮৭৫টি গ্রামের মানুষ উপকূত হবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে, তখন নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন থেকে মমমতার উত্থান শুরু, সেখান থেকেই সূচনা হল নয়া প্রকল্পের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সর্বক্ষেত্রে রাজ্যকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। সেই বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা ১২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার পরিকল্পনা নিয়েছি। সরকারে আসার পর ১ লক্ষ কিমি রাস্তা তৈরি করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই সব রাস্তা তৈরিতে কাজ পাবেন ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডাররা।
মমতা বলেন, কেন্দ্রের বঞ্চনা উপেক্ষা করে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ ইতিমধ্যে ২৬ দিন হয়ে গিয়েছে। এবার বাংলাজুড়ে রাস্তার কাজ করবেন ১০০ দিনের কাজের জবকার্ড হোল্ডাররা। তিনি বলেন, শুধু রাস্তার কাজই নয়, সিঙ্গুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি প্রায় শেষের পথে। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা একের পর এক কাজ করে চলেছি। কোনো কাজই আমরা থামিয়ে দিইনি।
মমতা বলেন, গ্রামবাংলার উন্নয়নে আমরা অগ্রণী। বাংলার রাস্তাঘাট, সৌন্দর্যায়ন তার প্রমাণ। আগে কাঁচা বাড়া, মাটির রাস্তা ছিল। সেইসব এখন পাকা হয়ে গিয়েছে। আগের সব রাস্তা ছিল ঢেউ খেলানো। সেখান মাছ চাষও করা যেত। এখন সেই ছবি বদলে গিয়েছে। রাস্তা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমরা পুরস্কার পেয়েছি।
মমতা বন্যোেছপাধ্যায় বলেন, বড় ট্রাক গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে রাস্তা ভেঙে দিচ্ছে। গ্রামবাসীরা এক হন, বড় ট্রাক গ্রামের রাস্তায় ঢুকতে দেবেন না। ছোটো গাড়ি, বাইক চলাচল করুক, তাতে কোনও সমস্যা নেই। মালবাহী ট্রাকের জন্য বড় রাস্তা রয়েছে। গ্রামের রাস্তায় তা যেন প্রবেশ না করে।