চেন্নাইয়ের কাছে হারল দিল্লি!
নিউজ ডেস্ক : স্বল্প সময়ের মধ্যে চেস অলিম্পিয়াড আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল চেন্নাই। পরিকাঠামোর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন বিশ্বের নানা প্রান্তের দাবাড়ু, তাঁদের সাপোর্ট স্টাফরা। সামগ্রিক বন্দোবস্ত দেখে উচ্ছ্বসিত ফিডে আগামী দিনে আরও অনেক ইভেন্ট ভারতে আয়োজনের আশ্বাস দেয়। যদিও খোদ রাজধানী দিল্লিই ফি়ডের ভরসা ধুলোয় মেশাল।
মহিলাদের গ্রাঁ প্রি-র তৃতীয় পর্যায়ের খেলাগুলি আয়োজনের দায়িত্ব পায় দিল্লি। যদিও সেখানকার পরিকাঠামো-সহ নানাবিধ বন্দোবস্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেন কাজাখস্তানের দাবাড়ু ঝানসেয়া আবদুমালিক। ২৩ বছরের গ্র্যান্ডমাস্টার জানতে পারেন যাতায়াতের বন্দোবস্ত করা বা দিল্লিতে পৌঁছে দাবাড়ুরা যেখানে থাকবেন তা তৈরি করাই হয়নি। সে কারণেই নাম প্রত্যাহার।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ফিডের মুখ পোড়ায়। প্রথমে ঠিক করা হয় ১২ জন দাবাড়ুকে নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে কোনও ভারতীয় দাবাড়ুকে নেওয়া হবে কাজাখ দাবাড়ুর পরিবর্তে। যদিও বাকি প্রতিযোগীরা তা মানতে চাননি। এই ইভেন্টের আয়োজকদের গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে ফিডে। ফেডারেশন সভাপতি আরকাডি ডরকোভিচ প্রত্যাশিত পরিকাঠামোর অভাবের জেরে হওয়া অসুবিধা প্রসঙ্গে প্রতিযোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠিও লিখেছেন।
যে ১২ জন মহিলা দাবাড়ুর এই ইভেন্টে অংশ নেওয়ার কথা তাঁদের মধ্যে ভারত থেকে রয়েছেন হরিকা দ্রোণাভাল্লি, কোনেরু হাম্পি ও রমেশবাবু বৈশালী। কাজাখ দাবাড়ু সরে দাঁড়ানোয় ইভেন্ট শুরুর বিষয়টি ২৪ ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় ফিডে। কাজাখ দাবাড়ু ফেসবুক পেজে লেখেন, ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রি-তে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা সকলেই সেখানকার ব্যবস্থাপনা দেখে হতাশ ও বিস্মিত। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমরা ফিডে প্রেসিডেন্টে চিঠি লিখে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছি। প্রায় সকলেই সেই চিঠিতে সই করেছেন। এই গ্রাঁ প্রি স্থগিত বা বাতিলের অনুরোধও জানিয়েছি।
মহিলাদের দাবায় দু-বারের যুব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং বালিকা বিভাগে বিশ্ব জুনিয়র খেতাবজয়ী ঝানসেয়া আবদুমালিক আরও জানিয়েছেন, মহিলা দাবাড়ুজের নিরাপদ ও স্বাভাবিক পরিবেশে খেলার সুযোগ পাওয়া উচিত। আয়োজকদের এই গাফলতির কথা আমাকে জনসমক্ষে আনতে হলো নিজের সুনামের প্রতি সুবিচার করতেই। ফিডে প্রেসিডেন্ট ও এগজিকিউটিভ ডিরেক্টরকে মেল পাঠিয়ে আমার সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছি। প্রতিযোগীদের যাতে আর অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াচ্ছে ফিডে। মহিলাদের টুর্নামেন্ট আয়োজনে পরে যাতে এই ধরনের সমস্যা আর না হয় সেজন্য নির্দেশিকা মেনে সব কিছু হচ্ছে না থা খতিয়ে দেখবে বিশ্ব দাবার সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।