মমতার নাচে মুগ্ধ রাষ্ট্রপতি মুর্মু!
নিউজ ডেস্ক : বাংলায় এসে আপ্লুত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু! শুধু তাই নয়, বাংলা ভাষার প্রশংসাও এদিন শোনা গেল রাষ্ট্রপতির মুখ থেকে। সোমবার রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই গোটা অনুষ্ঠান হয়। আর সেখানেই বাংলার ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় রাষ্ট্রপতি মুর্মুর মুখে।
এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও একের পর এক প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখ থেকে।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক মনিষীদের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব থেকে শুরু করে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। এমনকি যেভাবে গান গাইতে গাইতে ক্ষুদিরাম বোস ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন সেই কথাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি ‘হাসি হাসি পড়ব ফাঁসি’ যেভাবে ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে সেই বিষয়টি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে একাধিক আদিবাসী মহিলাকে দেখা যায়। আর সেখানে হঠাত করেই নাচতে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি আদিবাদী বাদ্যজন্ত্র বাঁজাতেও দেখা যায় তাঁকে। যা দেখে একেবারে আপ্লুত হয়ে যান মঞ্চে থাকা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। একেবারে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে থাকেন তাঁরা।
পরে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যেও উঠে আসে এই প্রসঙ্গটি। আর তা বলতে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, আদিবাসী বোনেদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৃত্য পরিবেশন করলেন, বাদ্যযন্ত্র বাজালেন, তা আমায় মুগ্ধ করেছে। আমি অত্যন্ত খুশিও বলেও দাবি করেন রাষ্ট্রপতি। শুধু তাই নয়ম সমস্ত সংস্কৃতির মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার স্বভাব অন্যদের থেকে তাঁকে ( পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে) আলাদা করে তোলে বলেও এদিন দাবি করেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু।
অন্যদিকে বাংলা ভাষার প্রশংসাও শোনা যায় রাষ্ট্রপতি মুর্মুর বক্তব্যেকে। তিনি বলেন, খুব সুইট একটা ভাষা বাংলা। সুন্দর একটা মিষ্টতা এবং গন্ধ আছে। সব সময়েই আমাকে আকর্ষণ করে বলেও মন্তব্য রাষ্ট্রপতির। আর সেই গন্ধের কাছে এলেই আমার মনে আমি গ্রামেরই কাছে আছি বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু।
তবে বক্তব্য শেষে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জয় বাংলা স্লোগান শোনা যায়। কিন্তু শেষে জয় বাংলা— দেশ বলেও বেফাঁস মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। একই সঙ্গে যদিও জয় হিন্দ—জয় জহর বলতেও শোনা যায় তাঁর মুখে।
তবে এই বিষয়ে বিতর্কের কিছু দেখছেন না রাজনৈতিকমহল।