‘আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয় না, নিজের প্রজ্ঞায় কথা বলি’, পার্থ চট্টোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক::আবারও বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালত থেকে বেরোনোর সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, তাঁকে কেউ কিছু শিখিয়ে দেয়নি। নিজের প্রজ্ঞায় কথা বলেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগেরদিন আদালতে পেশ করার সময় শুভেন্দু অধিকারীও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয় বলে দাবি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার আলিপুর জেল থেকে বেরোনোর সময় ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আমাকে কেউ কিছু শিখিয়ে দেয় না। নিজের প্রজ্ঞা থেকে বলি।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আগের দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতের বাইরে নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর জড়িত থাকার কথা বলেছিলেন। তার পাল্টা জবাবে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, জেলারের মাধ্যমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে কথা।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটে অভিযোগ করেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর নামে যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন সেটা তাঁকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। আলিপুর সংশোধনাগারের জেলারের সঙ্গে কথা বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সবটা শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেকারণেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর নামে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। পুরোটাই পরিকল্পিত শাসক দলের। নইলে কুণাল ঘোষের দাবির সুরেই কেন কথা বলবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এরপর আগে আদালতে পেশের সময় প্রথম শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, যাঁরা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন সেই শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষরা একেবারেই দুর্নীতি মুক্ত নন। ২০১১-১২ সালের ক্যাগ রিপোর্ট খতিয়ে দেখলেই জানা যাবে উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন। তাঁকেও চাকরির সুপারিশ করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি রাজি হননি সেই দুর্নীতি করতে।
শুভেন্দু অধিকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করছেন সবটাই অসত্য বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি কী ভাবে হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই অভিযোগ করেছেন প্রকাশ্যে। তিিন অভিযোগ করেছেন সিপিএমের মুখপত্রে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সকলের স্ত্রীকে স্কুলে চাকরি দেওয়া হয়েছে বাম আমলে।