হাওড়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ শুভেন্দুর!
নিউজ ডেস্ক::রামনবমী মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র হাওড়া! মিছিলে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ ঘিরেই একেবারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিবপুর এলাকা। একের পর এক গাড়ি এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনার জন্যে মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুধু তাই নয়, শিবপুর এবং ডালখোলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইটও করেছেন বিরোধী দলনেতা। যেখানে রাজ্যের মুখ্যসচিবের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও ট্যাগ করেছেন তিনি।
টুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখছেন, হাওড়ার ঘটনায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া উচিৎ। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে বিরোধী দলনেতার আবেদন, যাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন রাজ্য পুলিশ সঠিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। গোটা এলাকাতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে বলেও দাবি নন্দীগ্রামের এই বিধায়কের। এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন! তবে তাঁর দাবি পুলিশ সঠিক ব্যবস্থা করতে পারিনি যাতে সমস্ত মিছিল বিনা বাঁধায় এগিয়ে যেতে পারে। তবে পুলিশের অনুমতি নিয়েই সমস্ত মিছিল হয়েছিল বলেও এদিন টুইটে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।
অন্যদিকে রামের দেশে রাম নবমীর শোভাযাত্রা আক্রান্তের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, হাওড়ায় গতবছর যে জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। এই বছরও ঠিক একই জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং সর্বপরী তোষণের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে একটা চরম সর্বনাশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা।
তবে এভাবে কোন ধর্মীয় শান্তিপূর্ণ শোভা যাত্রাকে ব্যাহত করা যাবে না বলে দাবি তাঁর। রাম বিভাজনের উর্ধ্বে বলেও মন্তব্য শমীকের।
বলে রাখা প্রয়োজন, রামনবমীতে অশান্তির ঘটনায় নাম না করে বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি রুট পরিবর্তন করারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, হাওড়াকে কেন বারবার টার্গেট করা হয়। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে গুণ্ডা এনে ঝামেলা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে বলেও দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর কথায়, মিছিল করতে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি, কিন্তু তরোয়াল নিয়ে বুলডোজার নিয়ে মিছিল করার অনুমতি কে দিয়েছে? প্রশ্ন প্রশাসনিক প্রধানের। তবে ঘটনায় যারা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ তাঁর। এমনকি পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থার কথা মমতার।