হাওড়ার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অধীর চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক::পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এদিন বহরমপুরে করা সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ভবিষ্যতে রাজ্যের বড় কোনও নির্বাচনে সিপিআইএম-এর সঙ্গে জোট করে লড়াইয়ের পক্ষপাতি তিনি। কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জিতবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
হাওড়ায় যে ঘটনাটা ঘটেছে, তা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে হাজার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেছেন, হাওড়ার ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এই ধরনের ঘটনা আটকাতে সরকারের পরিকল্পনা ছিল বলে তিনি মনে করেন না।
অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বেশি মাথাব্যথা। হাওড়া নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে গেলে হিন্দু ভোট হাতছাড়া হবে না মুসলিম ভোট হাতছাড়া হবে তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বিধাগ্রস্থ। তিনি বলেন, সরকার দ্বিধাগ্রস্ত হলে প্রশাসন চালানো অসম্ভব হয়ে ওঠে।
বিজেপি হাওড়ার ঘটনা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে প্রদেশ সভাপতি বলেন, হাওড়ার ঘটনা নিয়ে এনআইএ তদন্ত মানে মশা মারতে কামান দাগা। সরকার যদি মনে করে কোথা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে, তা সহজেই তারা বার করতে পারবে। তিনি বলেন, সব থেকে আগে সেখানকার পুলিশকে ধরা উচিত।
ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীরা ফের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অধীন চৌধুরী বলেন, রাজ্যে নির্বাচনী সমীকরণে সবকিছুকে বিচার করা হয়। ডিএ দিলে কত ভোট পাওয়া যাবে, আর সেই টাকা মেলা-খেলায় খরচ করতে কত ভোট পাওয়া যাবে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরিষ্কার বলেও মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
সিপিআইএমের সঙ্গে সমঝোতা করে কংগ্রেসের রাজনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। কোনও কোনও মহল থেকে একথা বলা হলেও, তাতে আমল দিতে রাজি নন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ২০১৬-য় সিপিআইএমের সঙ্গে সমঝোতা করে লড়াই করেছিলেন। ২-২১-এ লড়াই হয়েছিল। আবার প্রয়োজনে সমঝোতা করা হবে। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে লড়াই করে দেখিয়ে দেওয়া গিয়েছে একসঙ্গে লড়াই করলে কী হয়। পঞ্চায়েতে কী হবে, সেটা স্থানীয় নেতাদেরকে ঠিক করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।