শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নতুন কমিশন গড়ল যোগী সরকার
নিউজ ডেস্ক:: পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। একের পর এক নেতা-মন্ত্রী জড়িয়ে পড়ছেন এই ঘটনায়। এরই মাঝে নিয়োগ দুর্নীতিতে থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে শিক্ষক নিয়োগের নতুন কমিশন গড়লেন যোগী আদিত্যানাথ।
শিক্ষাক্ষেত্রেও রাজ্যে আমূল পরিবর্তন আনতে তৎপর যোগী সরকার। রাজ্যের সব সরকারি স্কুলের উন্নয়নে যেমন অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে। সেগুলিকে আধুনিক ক্লাসরুমে পরিণত করা হচ্ছে। সেরকমই রাজ্যের শিক্ষকদের উন্নয়নেও তৎপর যোগী সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ িনয়েও বড় পদক্ষেপ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি যোগী সরকার শিক্ষক নিয়োগে নতুন কমিশন তৈরি করেছেন। এই কমিশনের মাধ্যমে একেবারে প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক এবং রাজ্যের কারিগরি কলেজের শিক্ষকদেরও নিয়োগ করা হবে। এবং সেই কমিশনকে স্বায়ত্ব শাসনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষক নিয়োগে কোনও রকম চাপ ছাড়াই একক ভাবে কাজ করতে পারবে এই কমিশন।
এই কমিশনই টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট বা ইউপি টেট পরীক্ষা পরিচালনা করবে। এর আগে শিক্ষক নিয়োগে একাধিক কমিশন এবং বোর্ড ছিল। এবার কেবল মাত্র একটি কমিশনই এই কাজ করবে। এতে প্রশাসনের সুবিধা যেমন হবে তেমন চাকরি প্রার্থীদেও সুবিধা হবে। রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই যোগী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই কমিশনের নাম দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশ শিক্ষা সেবা চয়ন আয়োগ বা উত্তর প্রদেশ এডুকেশন সার্ভিস সিলেকশন কমিশন। নিয়মিত যাতে ইউপিটেট পরীক্ষা হয় সেদিকেও নজর রাখবে এই কমিশন। স্বাধীন ভাবে কাজ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই কমিশনকে। পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউর মাধ্যমে একেবারে স্বচ্ছতার সঙ্গে এই কমিশন শিক্ষক নিয়োগ করবে।
এই কমিশনের সদস্য হিসেবে থাকবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পর্যায়ের কোনও ব্যক্তি এবং চেয়ারম্যান পদে থাকবেন একজন উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারীক। একইভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকা একজন সিনিয়র বিচারক এবং একজন শিক্ষাবিদও থাকবেন। সেই সঙ্গে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধি, মহিলাদের প্রতিনিধি এবং তপশিলি জাতী উপজাতিদের প্রতিনিধিও থাকবেন এই কমিশনে।
সরকারি প্রাথমিক, বুনিয়াদি, নিম্নবুনিয়াদি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ ছাড়াও সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত প্রাথমিক-উচ্চ প্রাথমিক স্কুল। সংস্কত স্কুল এবং বিভিন্ন সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কারিগড়ি কলেজে শিক্ষক নিয়োগ করবে এই কমিশন। নিয়োগ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই একক কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।