তাপপ্রবাহ থেকে শিশুদের বাঁচাবেন কীভাবে?

0 0
Read Time:4 Minute, 48 Second

নিউজ ডেস্ক::একদিকে গরম আরেক দিকে তাপপ্রবাহ। দুয়ের জেরে নাজেহাল মানুষজন। সবচেয়ে কঠিন দশা শিশুদের নিয়ে। রোদ গরমের মধ্যেও স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে তাদের। এতে শিশুদের অসুস্থ হয়ে ওঠার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। কীভাবে শিশুদের শরীর ভাল রাখবেন এই তাপপ্রবাহের মধ্যে, কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কোথাও তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি তো কোতাও ৩৭ ডিগ্রি। হেরফের তেমন বেশি কিছু নেই রাজ্য জুড়ে । তার উপরে আবার তাপ প্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তারই মধ্যে বড়দের যেমন কাজে বেরোতে হচ্ছে তেমন ছোটদেরও স্কুলে যেতে হচ্ছে। কেউ সকালে তো কেউ দুপুরে স্কুলে যাচ্ছে। যে সময়েই স্কুলে যাক না কেন গরমে তাপ যে তাদের ছোট্ট শরীরকেও কষ্ট দিচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কেউ দুপুর ১২টায় তেতে পুড়ে ফিরছে। কেউ সকাল দশটার রোদের ঝাঁঝ মাথায় নিয়েই স্কুলে যাচ্ছে। তারপর সারাদিন গরমে কাটানো।

এই তাপপ্রবাহে একদিকে যেমন বড়দের অসুস্থতার সম্ভাবনা রয়েছে তেমনই শিশুদেরও অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। কারণ রোদে গরমে হুড়হুড়িতে সর্দিগরমি খুব তাড়াতাড়ি ধরিয়ে ফেলছে। আবার অনেকেই ডিহাইড্রেশনের শিকার হয়ে নেতিয়ে পড়ছে। কারোর কারোর আবার ডায়রিয়ার দেখা দিচ্ছে। মোটের উপরে শিশুেদর এই গরমের প্রকোপ থেকে রক্ষা করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ বাবা-মায়েদের।

রোদ-গরম-তাপপ্রবাহ বলে তো শিশুদের বাড়িতে আটকে রাখা যায়না। সেশন সব স্কুলেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন পুরোদমে ক্লাস হচ্ছে। নতুন ক্লাস নতুন বই, কেউ বাড়িতে থাকতে নারাজ। কাজেই স্কুলে যেমন তাঁদের পাঠাতে হবে তেমনই তাঁদের শরীর এই গরমে কীভাবে ভাল রাখা যায় সেদিকে অভিভাবক এবং স্কুল উভয়কেই সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে বাড়িতে যখন তারা থাকছে তখন তাদের খাবার দাবারের উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। স্কুলেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নজরে রাখতে হবে যাতে পড়ুয়ারা কেউ রোদের মধ্যে না খেলা করে।

বড়রা খাবারের বিষয়ে সচেতন হলেও শিশুরা কিন্তু অবুঝ। তাই তাঁদের বুঝিয়ে শুনিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার এই সময় খেতে দিতে হবে। জাঙ্ক ফুড খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। বাইরের চিপস, পিজা এই জাতিয় খাবার এমনকি চকোলেটও যেন তারা বেশি না খায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। জলীয় বা তরল জাতীয় পদার্থ বেশি করে খেতে দিতে হবে। শরবত , লেবুর রস, গ্লুকোজ ওয়াটার খাওয়াতে হবে বেশি করে। শরীর গরম করে এরকম কাবার বেশি খেতে দেওয়া যাবে না। চিকেনের হালকা স্টু, মুসুর ডাল, সবজি, মাছ এই সব যেন দুপুরের খাবারে থাকে। ডিম এই সময় একটু এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা।

শিশুদের পোশাকেও বিশেষ নজর দিতে বলেছেন চিকিৎসকরা। গরম লাগছে বলেই যে খালিগায়ে রাখতে হবে শিশুকে সেটা একেবারেই করা যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হবে। গরম হাওয়া লেগে শরীর আরও খারাপ হবে। হালকা সুতির পোশাক পরানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে শিশুদের ২ বার স্নান করানোর কথা বলেছেন। আবার ভেজা কাপড় দিয়ে গা মুছিয়ে দিতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা হবে। এসির ব্যবহার করলে সেটা যেন স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে করা হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে অভিভাবকদের।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!