সাংবাদিকদের সামনেই গুলি করে মারা হলো গ্যাংস্টার আতিক ও তার ভাইকে
নিউজ ডেস্ক::মাত্র ২দিন আগে(১৩ এপ্রিল) উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার আতিকের ছেলে এনকাউন্টারে মারা যায়। ঠিক দুদিনের মধ্যে প্রয়াগরাজে গুলিতে মৃত্যু হল গ্যাংস্টার বাবা আতিক আহমেদের। সঙ্গে আতিফের ভাই আশরাফ আহমেদেরও মৃত্যু হয়েছে। এদিন প্রয়াগরাজে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপরে হামলা হয়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের। এই ভয়াবহ ঘটনায় নড়ে বসেছে উত্তর প্রদেশের প্রশাসন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়,নিয়ম মাফিক পুলিশ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আতিক ও তার অপর পুত্রকে হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছিল। প্রয়াগরাজে পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যাচ্ছিল দুজন। সামনে সাংবাদিকরা। আশপাশে পুলিশ ছিল। সেইসময় হামলা হয়। অতিক আহমেদের মাথার গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলে মারা যায় এই গ্যাংস্টার। পুলিশ হামলাকারীদর আটক করে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ও মিডিয়ার সামনে গুলি চালনার এই ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এমন দুঃসাহস দেখে নাগরিক মহল বিস্মিত।
একটি সূত্রের দাবি পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতার করেছে। দুজনকে হত্যার পরে হামলাকারীরা জয় শ্রী রাম স্লোগানও দেয় বলে জানা গিয়েছে। খুব কাছ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের পরে গুলির খোল ও গুলি উদ্ঝার করা হয়েছে।
পুলিশ হত্যাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাবের জন্যই যে এই হত্যা তা নিয়ে সন্দেহ নেই। হামলাকারীদের গুলিতে কাম সিং নামে এক কনস্টেবলও আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনার পরে রাজ্য জুড়ে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। একটি সূত্র থেকে বলা হচ্ছে এই ঘটনায়. ক্ষুব্ধ যোগী আদিত্যনাথ রাজ্য পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন। রিপোর্ট যাইহোক,পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন এই হত্যা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের মানুষেরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে বৃহসপতিবার ঝাঁসিতে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারের মারা যায় আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ। সঙ্গী গোলামেরও মৃত্যু হয় পুলিশের গুলিতে। গত প্রায় দেড়মাস ধরে এসটিএফ আসাদ ও গোলামকে খুঁজছিল বলে জানা গিয়েছে। ডিএসপি নভেন্দু এবং এসটিএফএ-র ডিএসপি বিমলের নেতৃত্বে এই এনকাউন্টারটি হয়। বিচার শেষ হওয়ার আগেই এই হত্যা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।