অভিষেকের ২ মাস ব্যাপী ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচি – শুরু ২৫ এপ্রিল
নিউজ ডেস্ক : ঘাড়ের সামনে নিশ্বাস ফেলছে পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি শাসকদলের অনুকূলে ততটা নেই। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২ মাসের জন্য ঘর ছেড়ে পথে নামতে চলেছেন। তিনি বলেছেন, এবার তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রার্থী ঠিক করতে সাধারণ মানুষের মতামত নেবে। কর্মসূচি শুরু হবে কোচবিহারের দিনহাটায়। ২৪ জুন তা শেষ হবে সাগরে। দুমাস তিনি নিজেই রাস্তায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিন কর্মীসভা থেকে জনসভার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করবেন তিনি। গরমে কষ্ট হলেও, কিছু বদলাতে গেলে কিছু কষ্ট তো হবেই। তবে ইতিমধ্যে বিভিন্ন চ্যানেলে একটি বিলাসবহুল এসি বাস দেখানো হয়েছে – সম্ভবত ওই বসে করেই অভিষেক যাত্রা শুরু করবেন।
অভিষেক সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর কর্মসূচির মূল লক্ষ্য গ্রামের মানুষের মতামত নেওয়া। প্রতিদিন কর্মসূচির মধ্যে থাকবে পঞ্চায়েত নিয়ে মিটিং। আট-দশটি পঞ্চায়েতকে নিয়ে এই মিটিং হবে। প্রতিদিন তিন-চার-পাঁচটি করে জনসভা হবে। সাড়ে তিনহাজার কিমির যাত্রায় আড়াইশোর বেশি জনসভা করবে তৃণমূল। দিনের শেষে বুথ সভাপতি, এলাকার সমাজ সেবকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এরপর গোপন ব্যালটে সেখানকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম জানতে চাওয়া হবে। প্রার্থী তালিকা তিনি গ্রামের মানুষের ভোটের মাধ্যমেই তৈরি করতে চান। প্রসঙ্গত স্মরণীয়,ইতিমধ্যে বহু পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সম্পর্কে ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি বলেন, গত বেশ কয়েক বছর সাংসদ থেকে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে পঞ্চায়েতই হলো দেশের মেরুদন্ড। তাই সেই মেরুদন্ডকে সোজা রাখার জন্যই তার এই কর্মসূচি। পঞ্চায়েতের প্রার্থীকে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা মানুষের কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেই প্রায় সাত হাজার গ্রামীণ বুথে এবার তৃণমূলের প্রার্থী ঠিক করা হবে। সেই জন্যই জনসংযোগ যাত্রার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নব জোয়ার।’ তিনি বিশ্বাস করেন সাধারণ মানুষকে পঞ্চায়েতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা না গেলে গান্ধীজির ‘পঞ্চায়েত রাজ’এর স্বপ্ন ব্যর্থ হবে। তবে তিনি বার বার করে বলেছেন,প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেন কোনো ধর্মের ভিত্তিতে না করা হয়। তিনি আরো বলেন,বাম আমলে রক্তক্ষয়ী পঞ্চায়েত ভোট হতো। তা বন্ধ করতেই হবে। মানুষ নিজের ইচ্ছা মতো ভোট দেবে। কোনো গন্ডগোল হবে না। তবে তিনি অবশ্য সুকৌশলে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের ব্যাপক রক্তক্ষয়ের কথা এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন সকাল ১০ টায় তাঁর কর্মসূচি শুরু হবে। চলবে বেলা ১ টা পর্যন্ত। ১ টা থেকে করবেন জনসভা। প্রতিদিন অন্তত ৩/৫ টি জনসভা করার ইচ্ছা তাঁর। সন্ধ্যায় ক্যাম্প করবেন – পঞ্চায়েত নেতৃত্ব,বুথ সভাপতি ও জেলা সব নেতাদের নিয়ে। রাতে ওই ক্যাম্পেই নৈশযাপন করবেন।