বড় সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের
নিউজ ডেস্ক : রাজ্যে চিকিৎসকদের বড়সড় একটা ঘাটতি রয়েছে! কার্যত চিকিৎসকদের অভাবে ধুকছে একাধিক সরকারি হাসপাতাল। এই অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য দফতর। চিকিৎসকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এমনকি অবসরের বয়সও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্যভবনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকদের নিয়োগের বয়সসীমা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের পুনর্নিয়োগের বয়সও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আর সেই মতো চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকদের নিয়োগের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৬৭ করা হয়েছে। আগে এই বয়সসীমা ছিল ৬২। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য সমিতির অন্তর্গত যে চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক রয়েছে তাঁদেরকে নিয়েই এই কাজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের পুনর্নিয়োগের বয়স ৭০ করা হল। আগে এই বয়সসীমা ছিল ৬৫। পাশাপাশি সমস্ত বিভাগের চিকিৎসকদের অবসররের বয়স বাড়ানো নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে। একই সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ভাবে যে সমস্ত চিকিৎসকদের নিয়োগ করা হবে তাঁদেরও বয়সসীমা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর। অন্তত পাঁচ বছর করে বয়সের সীমা বাড়ানোর কথা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, যেমন ভাবে চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকদের নিয়োগের বয়সসীমা ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করা হয়েছে। তেমন ভাবে সাধারণ চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও এই বয়স করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন পড়লে অনেকটাই চিকিৎসকদের ঘাটতি মেটানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে পালাবদলের পরেই রাজ্যের একাধিক জায়গাতে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বারবার চিকিৎসক না থাকা প্রশাসনিক বৈঠকেই বিধায়ক-নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ।
সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের একটা যে অভাব রয়েছে তা মেনেও নিয়েছেন তিনি। সবাই প্রাইভেটে চলে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান। যদিও গ্রামীণ এলাকাতে যাতে চিকিৎসক পাঠানো যায় সেজন্যে একাধিক সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজে চিকিৎসকদের প্রত্যন্ত এলাকাতে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এরপরেও কোথাও একটা খামতি থেকে যাচ্ছে। আর তা মেটাতেই চিকিৎসকদের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।