জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে নিশানা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের
নিউজ ডেস্ক::রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে জাতীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের বিবাদ ফের চরমে। তিলজলা, গাজোলের পর এক কালিয়াগঞ্জ ইস্যুতে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। প্রকাশ্যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিশানা করেছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো।
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেও কালিয়াগঞ্জে কীভাবে নির্যাতিতার বাড়িতে যান তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে নিশানা করেছেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। একের পর এক টুইটে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে নিশানা করেছেন তিনি।
জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন ১৪৪ ধারা অমান্য করেই কালিয়াগঞ্জে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকি একের পর এক টুইটে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিছু না জেনেই জাতিয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো প্ররোচনা মূলক মন্তব্য করছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। রাজ্যকে না জানিয়েই জাতিয় শিশু সুরক্ষা কমিশন সব ঘটনায় হস্তক্ষেপ করছে।
কালিয়াগঞ্জে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার আগেই রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তারপরেই ১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।
প্রিয়াঙ্ক কানুনগো এর আগেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নিশানা করেছেন। কালিয়াগঞ্জের ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করেছেন অশান্তি বাড়ানোর জন্যেই কানুনগোকে পাঠানো হয়েছে। এমন কিছু বড় ঘটনা ঘটেনি রাজ্যে।
গত কয়েকদিন ধরেই কালিয়াগঞ্জ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে রয়েছে। একাদশ শ্রেণির নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। অপরাধীদে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করা হয়। এমনকী পুলিশের উপরে হামলাও চালানো হয় বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব়্যাফ নামানো হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপরে কালিয়াগঞ্জের কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকের দাবি বাইরে থেকে লোক এসে অশান্তি করেছে। এদিকে ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার।
যদিও এই ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি। বিষক্রিয়ায় কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে। কিন্তু পরিবারের লোকেরা সেই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ পুলিশ ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এই ভুয়ো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেশ করেছে।