লালন শেখ মৃত্যু মামলায় রক্ষাকবচ সিবিআইয়ের
নিউজ ডেস্ক::বগটুই মামলাতে স্বস্তি মিলল না সিবিআইয়ের। লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় তদন্ত করবে রাজ্যই। যদিও সিআইডির হাত থেকে তদন্ত গেল সিটের হাতে। মামলার তদন্তে সিট গঠন করে দিল আদালত। রাজ্যে কর্মরত আইপিএস প্রণব কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠন আদালতের।
আজ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে এহেন নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সিটে থাকবেন রাজ্য পুলিশের আধিকারিক বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। যদিও প্রণব কুমার তাঁর পছন্দমত বাকি আধিকারিকদের নিযুক্ত করতে পারবেন বলে নির্দেশে জানিয়েছে আদালত। যদিও বর্তমান তদন্তকারী আধিকারিকরা লালন শেখ মৃত্যু মামলাতে তদন্ত করতে পারবেন না বলেই এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে সিট যা তদন্ত করবে তা সম্পূর্ণটাই আদালতের নজরদারিতে চলবে বলে জানিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, এহেন নির্দেশের এক সপ্তাহের মধ্যে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। পাশাপাশি
কলকাতা হাইকোর্টের অনুমোদন ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট সিট পেশ করতে পারবে না বলেও এদিন জানিয়ে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি রাজ্যের কাছে কোন রিপোর্ট পেশ করতে হবে না বলেও জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত CID কোন তদন্ত করতে পারবে না বলেও এদিন নির্দেশে জানিয়েছে বেঞ্চ। পাশাপাশি সিবিআই আধিকারিকদের স্বস্তি দিয়ে রক্ষা কবচ বহাল রাখল আদালত।
রক্ষা কবচ থাকলেও তদন্তে সবরকম ভাবে সিবিআই আধিকারিকদের সাহায্য করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কোর্ট। তবে লালন শেখ মৃত্যু মামলাতে সাত সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের FIR খারিজ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত ১২ই ডিসেম্বর রামপুরহাটের পান্থশ্রী অতিথিনিবাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রহস্যজনক মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। সেখানকার বাথরুম থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
এই ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ঘটনায় তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। সিবিআইয়ের সাত তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ভাবে ওই এফআইআরে গরুপাচার মামলার তদন্তকারী দুই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য ও স্বরূপ দে’র নামও রয়েছে। কেন গরু পাচার মামলার তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
রাজ্য পুলিশের তদন্ত এবং FIR কে চ্যালেঞ্জ করে এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। এই মামলাতে যদিও সাত আধিকারিককে রক্ষাকবচ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর দীর্ঘ শুনানি চলছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। আজ সোমবার সেই মামলারই রায়দান করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আর তাতে রক্ষা কবচ পেলেও স্বস্তি মিলল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।