মাধ্যমিকে ফেল ১ লক্ষের বেশি
নিউজ ডেস্ক : প্রকাশিত হল মাধ্যমিক ২০২৩ পরীক্ষার ফলাফল। এবারে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী ফেল করেছে বলে জানিয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। ১ লক্ষ ১১ হাজার পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। যদিও তাঁদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নতুন করে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলেছেন পর্ষদ সভাপতি।
গত কয়েক বছরে এত বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। করোনা কালে প্রস্তুতি না হওয়াই প্রাথমিক কারণ বলে মনে করছে পর্ষদ সভাপতি। প্রস্তুতির অভাবও বড় কারণ এই অকৃতকার্য হওয়ার পিছনে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এই বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয়েছে ৪ মার্চ। তারপরে আড়াই মাসের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবছরে প্রথম ১০ জনের মধ্যে রয়েছেন ১১৮ জন। ১৬ জেলা থেকে মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। প্রথম হয়েছেন ছাত্রী।
এই বছরে প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১ লক্ষ ১১ হাজার ছাত্র ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে। গতবারের চেয়ে তা অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছে পর্ষদ। প্রস্তুতি ঠিকমত না থাকার কারণেই এই ফলাফল বসে মনে করা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে। পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। তারপরে কালিম্পং এবং কলকাতা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। মেধা তালিকায় নেই কলকাতা।
জেলা ভিত্তিক পাশের হারে পূর্ব মেদিনীপুর শীর্ষে। পূর্ব মেদিনীপুর পাশের হার ৯৬.৮১, পশ্চিম মেদিনীপুরে পাশের হার ৯২.১৩ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৮৮.৫০ শতাংশ। কলকাতা ৯৩.৭৫ শতাংশ। হাওড়া ৮৩.৫৯ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনা – ৮৯.৩৫ শতাংশ, হুগলি ৮৪.৬৩ শতাংশ। পশ্চিম মেদিনীপুর ৯২.১৩ শতাংশ। ঝাড়গ্রাম ৮৬.৩৬ শতাংশ। বাঁকুড়া ৭৪.৭২ শতাংশ। পুরুলিয়া ৭৯.১৬ শতাংশ।
এছাড়া পশ্চিম বর্ধমান ৭৪.১৫ শতাংশ। পূর্ব বর্ধমান – ৭৮.৯৪, নদিয়া – ৮০.৯০ শতাংশ। মুর্শিদাবাদ – ৭৯.৪৬ শতাংশ। বীরভূম – ৭৭.৬৭ শতাংশ। মালদা – ৮৩.৯৩,দক্ষিণ দিনাজপুর – ৭৭.৭৬, উত্তর দিনাজপুর – ৭০.৬৬, কোচবিহার – ৭৮.৮৬,আলিপুরদুয়ার – ৭৪.০৯, জলপাইগুড়ি – ৬৭.৭৩,দার্জিলিং – ৭৮.৯৬, কালিম্পং – ৯৪ শতাংশ।