মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত তথ্যচিত্র
নিউজ ডেস্ক::ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত তথ্যচিত্র তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ বিবিসির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে বিবিসিকে ১০ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলার মুখোমুখি হতে হবে। দিল্লি হাইকোর্টে সোমবার ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে একটি এনজিও এই মামলা দায়ের করেছে।
এনজিও র তরফে আবেদনে বলা হয়েছে, বিবিসি হল ব্রিটেনের জাতীয় সম্প্রচারক সংস্থা। তারা একটি নিউজ ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছিল, যার শিরোনাম- “ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন”। নোটিশ জারি করা হয়েছে যে, এই ডকুমেন্টারি “ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন” ভারতের সুনামকে কলঙ্কিত করেছে।
আরও বলা হয়েছে এই ডকুমেন্টারি দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর অভিযোগ তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারতের বিচার বিভাগ উভয়েই এই ডকুমেন্টারির নিশানায় রয়েছে। গুজরাতের এক এনজিও জাস্টিস অন ট্রায়ালের দায়ের করা আবেদনের বিষয়ে বিবিসিকে নোটিশ জারি করেছেন বিচারপতি শচীন দত্ত।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিবিসির ডকুমেন্টারির দুটি পর্ব প্রকাশিত হওয়ার পরই বিতর্কের সূত্রপাত। এই মর্মে আবেদনকারী ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। আবেদনকারী এনজিওর পক্ষে এবং বিবাদী বিবিসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১০০০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
ওই এনজিও দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ভারত সরকার, রাজ্য সরকারের বদনাম হয়েছে। সেই ক্ষতির কারণেই এই টাকা দাবি করা হয়েছে। ডকুমেন্টারিটি ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। তখন নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। এটি প্রকাশের পরপরই ডকুমেন্টারিটি নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে, এনজিওর পক্ষে সওয়াল করে বলেন, বিবিসির বিরুদ্ধে মামলাটি সেই তথ্যচিত্রের সাথে সম্পর্কিত, যা ভারত এবং বিচারবিভাগ-সহ পুরো ব্যবস্থাকে মানহানিকর করে তুলেছে।
পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তের “অপমানজনক এবং মানহানিকর” বিবৃতিগুলি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ভারত সরকার, গুজরাতের রাজ্য সরকারের সুনামের গুরুতর এবং অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে এই তথ্যচিত্রে মিথ্যাচার করা হয়েছে।
এনজিও দাবি করে, এর ফলে দেশের দুর্নাম হয়েছে। ভারতের জনগণ এই তথ্যচিত্রকে সমর্থন করে না। তবে এই সম্মানহানির জন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই নিশ্চিত করা যাবে। বর্তমানে বাদীপক্ষ ক্ষতির মূল্য ১০ হাজার কোটি টাকা ধার্য করেছে।
এখানে উল্লেখ্য, কেন্দ্র এর আগে একাধিক ইউটিউব ভিডিও এবং টুইটার পোস্টগুলি বিবিসি ডকুমেন্টারির লিঙ্কগুলিকে ব্লক করার জন্য নির্দেশ জারি করেছিল, যা বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারা একটি প্রচারের অংশ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল।