বিস্ফোরক বিকাশ ভট্টাচার্য
নিউজ ডেস্ক : মার্চের ২ তারিখে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে যে মডেল নিয়ে বেশি চর্চা হয়েছিল তা হল সাগরদিঘি মডেল। বাম ও কংগ্রেসের মিলিত প্রচার এবং তাতে জয় নিয়েই চর্চা হয়েছিল। কিন্তু তিনমাসের মধ্যে সেই মডেল ভেঙে খান খান। যেভাবে ২০১১ কিংবা ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল বিরোধীদের দলবদল করিয়েছিল, সেইভাবেই বায়রন দলবদল করলেন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের পরে বায়রন বিশ্বাস বলেন, শাসক দলে না থাকলে উন্নয়ন করা যায় না। আর সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা। ঠিক যে ভাবে আগে বাম-কংগ্রেসের বিধায়করা দলবদল করেছিলেন, এদিনের ঘটনা তা একবার ফের মনে করিয়ে দিল।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল থেকে বাম কিংবা কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার প্রবণতাটা একটু বেশিই, যতটা না বিপরীতে রয়েছে। সেই জায়গায় বায়রণ বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদান ব্যতিক্রমী ঘটনা।
এদিন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস আর বামেদের ধ্বংস করতে গিয়ে বিজেপিকে ৭৭ টা বিধায়ক দিয়েছেন। ১৮টি সাংসদ দিয়েছেন বিজেপিকে। ১৯৯৯ সালে জোট করেছিলেন বিজেপির সঙ্গে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, বায়রন বিশ্বাস কংগ্রেসের বিধায়ক হোন। কিন্তু দিদি ও খোকাবাবুর রায় ছিল মানুষের রায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার। তাই মানুষের রায়কে পদাঘাত করে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং বায়রন বিশ্বাসকে তৃণমূলে ফিরিয়ে নিয়েছেন।
বায়রন বিশ্বাসের জন্য সিপিআইএম প্রচার করেছিল, এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বামেরা বাইরনের সমর্থনে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করেছিল। সেখানেই মানুষ তাঁদের সমর্থন জানিয়েছিলেন, মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিকাশ ভট্টচার্য আরও বলেছেন, সারা ভারতে যেমন মোদী-শাহরা যেখানে সুযোগ পাচ্ছেন বিধায়ক কিনে বিরোধী দলে ভাঙন ধরাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে সেই কাজটি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের বায়রন বিশ্বাসকে দলে নেওয়ার ঘটনাকে তিনি রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে জোট ভাঙার চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেছেন।
আইনজীবী তথা সিপিআইএম সাংসদ বলেছেন, সাগরদিঘির মানুষ তৃণমূল ও বিজেপিকে পরাস্ত করে বাম-কংগ্রেস জোটকে ভোট দিয়েছিলেন। সেইভাবেই সারা রাজ্যের মানুষ ভবিষ্যতে তাঁদেরকে ভোট দেবেন। সেই সময় তৃণমূলের এইসব কর্মকাণ্ড টিকবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।