জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে যা জানাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
নিউজ ডেস্ক : জাতীয় শিক্ষানীতি একাংশ মেনে নিল রাজ্য সরকার। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবছর থেকেই জাতীয় শিক্ষানীতির একটা অংশ কার্যকর করা হবে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরেই তা কার্যকর করতে নেমে পড়েছে শিক্ষা দফতর। এমনটাই জানা গিয়েছে।
নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী চারবছরের স্নাতন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে সম্পূর্ণ নীতি মানা হচ্ছে না বলেই খবর। এই বিষয়ে টুইটে বিস্তারিত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে তিনি লিখছেন, একটি বিভ্রান্তমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে যে রাজ্য সরকার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি মেনে নিয়েছে। এটিকে সত্যের অপলাপ বললে কম বলা হবে।
রাজ্য সরকার একটি সম্পূর্ণ পৃথক স্টেট এডুকেশন পলিসি তৈরি করেছে, যেখানে সমস্ত ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বা ভালো ব্যবস্থাগুলিকে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রীরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতো না বলেও জানাচ্ছেন ব্রাত্য বসু।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া থেকে রাজ্য সরকার পিছিয়ে এল বলে জানা গিয়েছে। প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ভর্তি প্রক্রিয়া এই বছরও চলবে বলে জানা গিয়েছে। তবে তা অনলাইনের মাধ্যমেই হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বছর থেকেই কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করা নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার। মূলত তিন বছরে স্নাতক নাকি চার বছরের পাঠক্রম হবে সেই বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগেই এই কমিগটি গঠন করা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়।
ছিলেন উচ্চ শিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং উচ্চশিক্ষা সংসদের যুগ্ম সচিব । আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-উপাচার্যরাও এই কমিটির মধ্যে ছিলেন। চার সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়।
শুধু তাই নয়, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পাঠক্রম এবং রুপরেখা কি হবে তা ঠিক করার দায়িত্বও এই কমিটিকে দেওয়া হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে কি জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। যদিও এই শিক্ষানীতিতে ক্ষতি হতে পারে পড়ুয়াদের। এমনকি শিক্ষানীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিকবার পথে নেমেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। যা নিয়ে উত্তাল হয়েছে কলকাতা।
এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরে নতুন করে কলকাতা অশান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী জানাচ্ছেন, । জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন জিনিস, যেমন বিদ্যালয়ে ৫+৩+৩+৪ শ্রেণী চালু করা বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অতিরিক্ত কেন্দ্রীকরণ, এইরকম অনেকগুলি নীতির বিরোধিতা আমরা করেছি এবং আমাদের রাজ্য শিক্ষানীতিতে গ্রহণ করিনি।