IPL ফাইনালে হারের পর মানসিক অবসাদে মোহিত

0 0
Read Time:4 Minute, 8 Second

নিউজ ডেস্ক : আইপিএলের মঞ্চে দুর‌ন্তভাবেই প্রত্যাবর্তন করেছেন। দলকে কঠিন পরিস্থিতিতে জিতিয়েছেন মোহিত শর্মা। কিন্তু তিনি সিএসকের বিরুদ্ধে ফাইনালে নায়ক হতে পারলেন না। সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলের মঞ্চে দারুণ কামব্যাক করেছেন মোহিত তা ঠিক। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে ট্র্যাজিক হিরো হিসাবেই থাকতে হল গুজরাত দলের পেসারকে।

জেতার জন্য সিএসকের শেষ দু’ বলে দরকার ছিল ১০ রান। পঞ্চম বলে ছক্কা মারেন জাদেজা। শেষ বলে জেতার জন্য প্রযোজন ছিল চার। জাদেজা বাউন্ডারি মেরে জয় এনে দেন। নায়ক হয়েই মাঠ ছাড়লেন জাড্ডু। আর একরাশ হতাশা গ্রাস করেছে মোহিতকে। সদ্য এক সাক্ষাত্কারে মোহিত জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ের কাছে হেরে যাওয়ার পর তাঁর মনের অবস্থা কেমন ছিল?

ফাইনাল ম্যাচের পর নিজের মনের অবস্থা সম্পর্কে মোহিত বলেন, “কিছুতেই ঘুম আসেনি। বার বার ভাবছিলাম, কী করতে পারলে ম্যাচটা জিততে পারতাম? কোন বল দিলে ভাল হত সেটাও ভাবছিলাম। মানসিকভাবে খুব অশান্ত হয়ে উঠছিলাম। মনে হচ্ছে কোথাও কিছু একটা যেন হারিয়ে ফেলেছি। চেষ্টা করছি সময়টা দ্রুত পেরোতে।”

ম্যাচের শেষে মোহিতকে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। এরকম পরিস্থিতিতে অতীতেও বল করেছেন। ম্যাচও জিতিয়েছে‌ন। কিন্তু ফাইনালে করতে পারলেন না। নেটেও এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে অনুশীলন করেছেন। নেটে প্রস্তুতির সুবাদেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মোহিত। বল করার আগে মোহিত কোনও রকম দ্বন্দ্বে ভোগেননি। কী করবেন সেটা স্পষ্ট ধারণা ছিল।

এই প্রসঙ্গে গুজরাত দলের পেসার বলেন , ‘কী করতে চাই সেই সম্পর্কে মনে পরিষ্কার ধারণা ছিল। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আগে অনেক বার অনুশীলন করেছি। তাই ইয়র্কার দেওয়া নিয়ে কোনও সন্দেহ আমার মধ্যে ছিল না। শুধু নিজের দক্ষতার উপরে ভরসা রেখেছিলাম।’

যদিও মোহিত শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছেন সুনীল গাভাসকর থেকে বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। গাভাসকর কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন অধিনায়ক পাণ্ডিয়াকে।


প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক গাভাসকর বলেছেন, ‘শেষ ওভারে প্রথম তিনটি বল দারুনভাবেই করেছিল মোহিত। কিন্তু হঠাত করেই তাঁর জন্য জল পাঠানো হয় এবং পাণ্ডিয়া তাঁকে কিছু বলে। একজন বোলার যখন ছন্দে থাকে তখন তাঁকে বাইরে থেকে কোনও কিছু বলা উচিত নয়। একটা দুরত্ব বজায় রেখে তাঁকে উজ্জীবিত করা দরকার। কথা বলার পরই ছন্দ হারিয়ে ফেলে মোহিত।’

একই সুর শেহওয়াগের গলাতেও। বীরুর কথায়,’একজন বোলার যখন ভালো বল করছেন, ইয়র্ক দিচ্ছেন, তখন কেন বাইরে থেকে তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হবে। মোহিত জানত ২ বলে ১০ রান দরকার। তখন সে ইয়র্ক বলই করত। এই পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে কোনও পরামর্শে দরকার ছিল না।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!