রেলের সুরক্ষা নিয়ে খোঁচা অধীর চৌধুরীর
নিউজ ডেস্ক::রবিবার ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, উদ্ধারকাজ ভাল করেই হয়েছে।
তবে সুরক্ষা নিয়ে যদি রেল আগে থেকে এতটাই তৎপর হত তাহলে এই দুর্ঘটনা এই মৃত্যু মিছিল হতো না। রেলমন্ত্রী নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করছেন। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯০ হয়ে গিয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ২১টি কামরা বেলাইন হয়েছে। যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের ২টি কামরা বেলাইন হয়েছে দুর্ঘটনার জেরে। গত শুক্রবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে ওলট-পালট হয়ে যায় সব কিছু। রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেলমন্ত্রী। সেখানে নিজে উপস্থিত থেকে পুরো উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছেন তিনি। নামানো হয়েছে বায়ুসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জগতেক একাধিক নেতাই পরের দিন পৌঁছে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। বিরোধীরা বারবারই রেলের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন ৫০০ জনের বেশি মারা গিয়েছেন। যদিও তারপরেই রেলমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান যে মৃতের সংখ্যা ২৮৩-র কাছাকাছি। তারচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাননি।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ হচ্ছে। কিন্তু এই নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কথা বলেছেন আহতদের সঙ্গে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী বুধবারের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেই টার্গেট রেখেই কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে এই দুর্ঘটনার জন্য বারবার রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস আগে থেকেই রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কেন সুরক্ষা কবচ ঠিক মতো ছিল না। বিরোধীদের সেই সুরপেই সুর মিলিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি দুর্ঘটনার ২ দিন পরে সেখানে পৌঁছলেও দুর্ঘটনা নিয়ে নিশানা করতে ছাড়েননি তিনি। যদিও উদ্ধারকাজের প্রশংসা করেছেন তিনি।
অধীর চৌধুরী এদিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি ঘুরে দেখেন হাসপাতালও। যেখানে চিকিৎসা চলছে আহতদের সেখানে পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন আহতদের সঙ্গে। যদিও ইতিমধ্যেই রেলের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনাটকও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। আহতদের চিকিৎসা যাতে ঠিকমত হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে রিলিফ ট্রেন এবং বিশেষ চিকিৎসক দল সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যের সাংসদ-বিধায়করাও সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন। দুর্ঘটনায় রাজ্যের অনের মানুষ মারা গিয়েছে। আহত এবং নিহতদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য হেল্পলাইন চালু করেছে রেল এবং রাজ্য সরকার। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে বারবার প্রশ্ন উঠছে রেলের সুরক্ষা নিয়ে।