পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিরোধের হুঙ্কার সেলিমের
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।
এখনও বহু জায়গায় বিরোধীরা মনোনয়ন দাখিল করতে পারেননি। অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশের মদতে বিরোধীদের উপর হামলা, সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যার ফলেই দিকে দিকে অশান্তির আবহ। তবে ফের সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের গলায় প্রতিরোধের হুঙ্কার।
চোর তাড়াও বেহালা বাঁচাও স্লোগান নিয়ে গতকাল সিপিআইএমের মিছিল হরিদেবপুর থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় ঠাকুরপুকুর ৩এ বাসস্ট্যান্ডে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, এই মিছিলে বহু সাধারণ মানুষ পা মিলিয়েছেন। মূল দাবি, বেহালা পূর্ব ও পশ্চিমের সমস্ত দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করে বেহালাকে বাঁচাতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের কথা বলেছিলেন। অনেকেই ‘নন্দলাল’কে বাহবা দিয়েছিলেন। তিনি যেটা চেয়েছিলেন সেটাই এখন দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি মনোনয়নে বাধাদান ডায়মন্ড হারবারেই। ফলতা, বজবজে মনোনয়ন জমা দিয়েই বিজয়োল্লাসে মাতছে তৃণমূল!
বিরোধীরা মনোনয়ন পেশ করতে পারবেন না, এই যে চেষ্টা তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়ে সেলিম বলেন, এই সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁশ ও দলীয় পতাকার ছবি দিয়ে ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করেছিলেন। যা নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল। সেলিম বলেন, ঝান্ডা বাঁধতে ডান্ডা লাগেই। জাতীয় পতাকা লাগাতেও বাঁশের প্রয়োজন হয়।
তিনি বলেন, জমি হাঙরদের তাড়াতে প্রতিরোধের পথ ভাঙড়ের মানুষ দেখাচ্ছেন বলেও মন্তব্য সেলিমের।
পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ঠুটো জগন্নাথ বলেও কটাক্ষ করেছেন সেলিম। তাঁর কথায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করার দায়িত্ব কমিশনের। মনোনয়ন ঘিরে যে পরিস্থিতি তা নিয়ে আমাদের কথা কাল কমিশনে তুলে ধরব। তিনি বলেন, দুষ্কৃতীরাজ যদি চলে সেখানে পুলিশ ও সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হবে। ন্যায়ের জন্য, অধিকারের জন্য সবাইকে একসঙ্গে সোচ্চার হতে হবে।
ফেসবুকে সেলিম লেখেন, চোর তাড়াও বেহালা বাঁচাও। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও সহযোগী শক্তিকে বিপুল ভোটে জয়ী করুন। সিপিআই (এম) কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে মিছিল বেহালায়। ছিলেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা পার্টির কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত, শতরূপ ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।