সংসদ চত্বরে গান্ধী-বাবা সাহেবের মূর্তি স্থানান্তর!
নিউজ ডেস্ক:: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় রবিবার সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে প্রেরণা স্থলের উদ্বোধন করেছেন। যেখানে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয় আইকনদের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। সংসদ ভবন চত্বরে যেখানে যা মূর্তি ছিল তা একই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিরোধীরা সরকারের এই পদক্ষেপে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে এই পদক্ষেপে গণতন্ত্রের মূল চেতনাকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
রবিবার প্রেরণা স্থলের উদ্বোধনে উপরাষ্ট্রপতি চজগদীপ ধনখড় ছাড়াও হাজির ছিলেন বিদায়ী লোকসভফার স্পিকার ওম বিড়লা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, অর্জুন রাম মেঘওয়াল।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের ইতিহাস, সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা দেশের মহান নেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। মূর্তিগুলি কমপ্লেক্সের বিভিন্ন জায়গায় ছিল। যা পাল্রামেন্ট কমপ্লেক্সে যাওয়া লোকদের পক্ষে পঠিকভাবে দেখার ক্ষেত্রে অসুবিধা তৈরি করছিল।
সব মূর্তিগুলিকে সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের ভিতরে এক জায়গায় স্থাপন করার লক্ষ্যে প্রেরণাস্থল তৈরি করা হয়েছে, যাতে সংসদ ভবন চত্বরে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মূর্তিগুলিকে এক জায়গায় দেখতে পারেন এবং শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপে আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইট করে বলেছেন, সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে মহাত্মা গান্ধী এবং বাবা সাহেব আম্বেদকর-সহ অনেক মহান নেতার মূর্তি বিভিন্ন জায়গা থেকে সরিয়ে এক কোণে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনও আলোচনা ছাড়াই এইসব মূর্তি সরিয়ে ফেলা গণতন্ত্রের মূল চেতনার লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
খাড়গে লিখেছে্ন, মহাত্মা গান্ধী এবং বাবা সাহেব আম্বেদকরের মূর্তি এবং অন্য বিশিষ্ট নেতাদের মূর্তি আলোচনার পরে উপযুক্ত জায়গাায় স্থাপন করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে প্রতিটি মূর্তি ও স্থানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
কংগ্রেস সভাপতি আরও লিখেছেন, সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে জাতীয় নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মূর্তি স্থাপনের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। যা সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে জাতীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের মূর্তি স্থাপনের কমিটি নামে পরিচিত। তবে ২০১৯ সালের পরে কমিটির পুনর্গঠন করা হয়নি।
অন্যদিকে বিদায়ী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেছেন, কোনও মূর্তি সরানো হয়নি। বরং প্রেরণা স্থলে সবাইকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, প্রেরণা স্থলার মাধ্যমে সংসদ ভবনে আগত দর্শণার্থীরা এক জায়গায় দেশের মহান ব্যক্তিদের মূর্তি কাছ থেকে প্রণাম করতে পারবেন এবং তাঁদের জীবন, আদর্শ ও দেশের প্রতি তাঁদের অবদান থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারবেন।