একরাশ ভয় আর আতঙ্ক সেই অভিশপ্ত ট্রেনে সওয়ার যাত্রীর
নিউজ ডেস্ক ::আজও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ছাড়ল আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। তবে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেকটাই দেরিতে ট্রেন ছাড়ে। যাত্রীরাও সওয়ার হয়েছেন রিজার্ভেশন অনুযায়ী। কিন্তু আতঙ্ক তাঁদের পিছু ছাড়ছে না। আতঙ্ক নিয়েই ট্রেনে চড়েছেন তাঁরা। অনেকে তো এতোটাই আতঙ্কিত বলছেন শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন তো।
ধীরে ধীরে রেলের উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলছেন যাত্রীরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন ভাড়া বাড়িয়েও তাঁরা নিরাপত্তা বা সুরক্ষা কোনও কিছুই পাচ্ছেন না। রেল মালগাড়ির চালকের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দায় সারতে চাইছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসল সত্যিটা প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।
গতকাল ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটি বাকি যাত্রীদের নিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাঁরা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। অনেক যাত্রীই ট্রেন থেকে নেমে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। মন্ত্রীর কাছে নিজেদের আতঙ্কের অভিজ্ঞতা জানিয়ে অনেকেই বলেছেন মৃত্যুর মুখ থেকে যে ফিরেতে পেরেছেন সেটাই বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁদের।
আজই ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রেলওয়ে সেফটি কমিশন। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দুর্ঘটনার ময়না তদন্ত করবে। গতকাল রেলবোর্ডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল মালগাড়ির চালক সিগন্যাল মানেননি সেকারণেই এই দুর্ঘটনা। তবে পরে জানা যায় ভোট সাড়ে ৫টা থেকে নাকি স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ ছিলেন। সকাল থেকেই পেপার সিগন্যাল দিয়েই কাজ হচ্ছিল মালগাড়ির চালককেও পেপার সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। পেপার সিগন্যাল দেওয়া হলে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে হয়। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় মালগাড়ির গতিবেগ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার।
পেপার সিগন্যাল কেন ভাঙলেন মালগাড়ির চালক এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লাইনের পাশে থাকা পর পর কেবিনের কর্মীরা কেন চালককে সতর্ক করলেন না চালকদের। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রেলওয়ে ট্র্যাকিং সিস্টেমে কেন ধরা পড়েনি একই ট্র্যাকে রয়েছে দুটি ট্রেন। একই লাইনের দুটি ট্রেন থাকলে কেন নিরাপদ দূরত্বে ছিল না মালগাড়িটি। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।