“২০২৬ সালে আমি মরে যাব। এর মধ্যে প্রায় দু’বছর জেলে খেটে ফেললাম। এ বার আমাকে জামিন দেওয়া হোক” – আদালতে মানিক
নিউজ ডেস্ক ::একদম ঠিক বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই অপরাধী বলা যায় না। যেমন অপরাধী বলা যায় না তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে, জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিককে বা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। তবুও মানুষের একটা পার্সেপশন তৈরী হয়ে যায়। তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে। বারবার আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এবার হাইকোর্টে কেঁদে ফেললেন তিনি। স্ত্রী ও পুত্র জামিন পেলেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে কোনওভাবেই অব্যাহতি পাচ্ছেন না তৃণমূল বিধায়ক মানিক। স্বাভাবিক কারণেই তিনি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালতে তিনি কেঁদে ফেলেন।
এবার আদালতে মৃত্যু আশঙ্কা প্রকাশ করে জামিনের আর্জি জানালেন। বৃহস্পতিবার মানিক ভট্টাচার্য আদালতে জানান, চিকিৎসকরা তাঁকে বলে দিয়েছেন যে তাঁর আর বেশিদিন আয়ু নেই। তিনি বলেন, “২০১৬ সালে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসকরা বলেছিলেন, আমি আর ১০ বছর বাঁচব। ওই চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি আমার কাছে রয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে আমি মরে যাব। এর মধ্যে প্রায় দু’বছর জেলে খেটে ফেললাম। এ বার আমাকে জামিন দেওয়া হোক।” কিন্তু বাদী ও বিবাদী পক্ষের তর্ক বিতর্কের পরে বিচারপতি মানিকের আবেদন খারিজ করে দেন। নাগরিক মহল স্মরণ করছেন সেই বহুশ্রুতি প্রবাদবাক্য – ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।’