বাংলায় প্রথম দুর্গাপূজার সূচনা

নিউজ ডেস্ক ::প্রচলিত মত হল, বাংলায় প্রথম দুর্গাপূজা করেন নদীয়ার (এখন রাজশাহী জেলার) তাহেরপুরে রাজা কংস নারায়ণ রায় বাহাদুর। ১৫৮০সালে পূজা শুরু হয়।কথিত আছে সেই সময় এই পূজায় কংস নায়রাণ ৮-৯ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। তিনি কংস নারায়ণ মন্দিরও ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে এ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। রাজকীয় অনুষ্ঠান করার ইচ্ছায় কংসনারায়ণ মহাযজ্ঞ করার সিদ্ধান্ত নেন। রাজপুরোহিত ছিলেন নাটোর বাসুদেবপুরের ভট্টাচার্য বংশের পণ্ডিত রমেশ শাস্ত্রী। বংশানুক্রমে কংসনারায়ণ পশুবলি-বিরোধী বলে অশ্বমেধ বা গোমেধ যজ্ঞ করা যাবে না বলে দুর্গাপূজা শুরু করেন। আর একটি দাবী মতে, তারও আগে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর (১৪৮৬ – ১৫৩৪) প্রধান শিষ্য নিত্যানন্দ খড়দহে স্বগৃহে প্রতিমায় দুর্গোৎসব করেছিলেন। আর একটি মতে কনৌজের পাঁচ কুলীন ব্রাহ্মণের এক ব্রাহ্মণ সুধানিধির বংশকে ‘ঘোষাল’ উপাধি দেন বাংলার শাসক লক্ষণ সেন। ১৪৫০ সালে সেই সুধানিধি বংশের আশুতোষ ঘোষাল কোন্নগরে আসেন। সেই ঘোষাল বংশের পারিবারিক নথি অনুসারে, কোন্নগরের বাড়িতে ১৪৫৪ সালে বাংলায় প্রথম দুর্গাপূজার সূচনা হয়। আরো একটি মতে ১৫০৭ সালে চন্দননগরের খলিসানির বসু বাড়িতে করুণাময় বসু দুর্গাপূজার প্রবর্তন করে। সেই দুর্গাপূজারর বিস্তৃতি ছড়ায় সেই বংশের রামকমল বসুর আমলে। পর্তুগিজদের সঙ্গে ব্যবসা করতেন বলে তাঁকে বলা হতো ‘ফিরিঙ্গি কমল বসু’। রামকমল বসুর নামে আপার চিৎপুর রোডের (বর্তমানে রবীন্দ্র সরণি) বাড়িতে এখন বর্তমানে ‘মাতৃমঙ্গল প্রতিষ্ঠান’ নামে হাসপাতাল রয়েছে।

আরও একটি দাবী মতে, বাংলায় সবার আগে মাটির মূর্তিতে দুর্গাপূজা হয়েছে বাকুড়ার বিষ্ণুপুরের মৃন্ময়ী মন্দিরে। তখন মল্লভূমের রাজধানী প্রদ্যুম্ননগরে ছিল। রাজা জগৎমল্ল (রাজত্বকাল ৯৯৪ থেকে ১০০৭) ছিলেন এই বংশের ১৯তম রাজা। লোকশ্রুতি মতে প্রদ্যুম্ননগর থেকে রাজধানী বিষ্ণুপুরে সরিয়ে আনেন এবং রাজা জগৎমল্ল মৃন্ময়ী দেবীর মূর্তি পূজা শুরু করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *