নিউজ ডেস্ক ::একেই কি বলে মাৎস্যন্যায়? প্রশ্ন উঠেছে নাগরিক মহলে। আর জি কর কাণ্ডের পরেও ক্রমাগত হয়ে চলেছে ধর্ষণের কান্ড। কোনো ভয় নেই। আর মানুষের সমস্ত ক্ষোভ উগ্রে উঠছে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। আর হয়তো তার পরিনামেই মানুষ আইন তুলে নিচ্ছে নিজের হাতে। পটাশপুরে মহিলার বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে এগরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই মৃত্যু হল অভিযুক্তের। তপ্ত পটাশপুর।জয়নগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তপ্ত রাজ্য। তার মধ্যেই রবিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে এক গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত নির্যাতিতার প্রতিবেশী। ওই গৃহবধূর ওপর প্রতিবেশী যুবকের দীর্ঘদিন ধরেই কুনজর ছিল। তাঁকে একাধিকবার আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। ওই গৃহবধূ তাঁকে সতর্ক করেন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা কারোর কথা শোনে না। তারা এখন বেপরোয়া।
শনিবার ঘটে গেলো ভয়ঙ্কর ঘটনা। শনিবার নির্যাতিতার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, মহিলা বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ঘরে ঢোকেন ওই যুবক। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ধর্ষণে বাধা পাওয়ায় মহিলাকে মারধর করা হয়। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অভিযুক্তকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এগরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। কিন্তু কেন মানুষ বার বার করে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে? এটা কি প্রশাসনের উপর অনাস্থা? এক্ষেত্রেও মনে করছে পুলিশ প্রমাণ লোপাট করবে!