নিউজ ডেস্ক ::একেই হয়তো বলে মননের আন্তর্জাতিকতা। ভারতীয় উপনিষদে বলা হয়েছে – ‘বসুধৈব কুটুম্বুকম।’ অর্থাৎ সারা বিশ্ব আমার আত্মীয়। এবার তাই প্রমাণ করলো ব্রিটানের অ্যাসেক্স পুজো কমিটি। তারাও প্রতিবাদে সোচ্চার আর জি করের তিলোত্তমার জন্য। দেখতে দেখতে ন’বছরে পা দিল এই পুজো কমিটি। অ্যাসেক্স-এর পুজোর মূল আকর্ষণ বিখ্যাত মৃৎশিল্পী মোহনবাঁশী রুদ্রপাল ঘরানার সনাতন রুদ্রপালের তৈরি মূর্তি। আশি নব্বই দশকে বহুবার শারদ সম্মান পেয়েছেন তিনি। যারাই দেখেছেন তাঁর বানানো মূর্তি থেকে চোখ ফেরাতে পারেননি। সব আছে, কিন্তু তার মধ্যেও একটা না থাকার বিষাদ লেগে আছে ওই পুজো কমিটির মধ্যে।
শুধু প্রতিমা নয়, সঙ্গে রয়েছে এক অভিনব মণ্ডপসজ্জা ও তোরণ। মণ্ডপে ঢুকলে মনে হবে আপনি নিউ মার্কেট, হাওড়া ব্রিজ, দক্ষিণেশ্বরে রয়েছেন। বুঝতেই পারবেন না কলকাতায় আছেন নাকি যোজন মাইল দূরে। উপরি পাওনা হিসাবে থাকছে কালীঘাটের পটুয়াশিল্পীদের হাতে আঁকা ছবি। এছাড়াও এসেক্সের পুজোতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। নাচ-গান-আবৃত্তিতে জমজমাটি মজা-আড্ডায় কীভাবে যে চারটে দিন কেটে যাবে ধরতেও পারবেন না। বাঙালিদের সঙ্গে থাকছে রমফোর্ডের মেয়রও। পাঞ্জাবি এক ব্যক্তির গলায় রবীন্দ্রনাথের আবৃত্তি শুনতে পাবেন আপনি। ডক্টর শেফের পরিচালনায় এই কয়েকদিন দুপুর ও রাতের খাবার আয়োজন করেছে কমিটির সদস্যরা । তাঁরাই নিজের হাতে রান্না ও পরিবেশন করবেন। নবমী নিশিতে আয়োজন ররেছে বিজয়া সম্মিলনীর। তবে মন্ডপে জ্বল জ্বল করবে – ‘জাস্টিস ফর তিলোত্তমা’ শ্লোগানটি।