নিউজ ডেস্ক ::হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা বেশ জটিল। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী ও হিন্দু বিরোধী একটা হাওয়া সক্রিয়। এই অবস্থায় বাংলাদেশের হিন্দুরা কতটা নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পারবে তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এবার সেই বার্তাই দিলো আমেরিকা।বাংলাদেশের পট পরিবর্তনের পর গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে আমেরিকা। যেখাবে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের খাঁড়া নেমে এসেছে তা নজর এড়ায়নি হোয়াইট হাউসের। এর আগেও এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “আমরা চাই, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত থাকুক। হিন্দুরাও যেন নির্বিঘ্নে সেদেশে দুর্গাপুজো পালন করতে পারেন।”
এখন হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ পুজো সম্পন্ন করাই বড় চ্যালেঞ্জ ইউনুস সরকারের কাছে। হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে নানা প্রান্তে হামলার শিকার হন হিন্দুরা। ভেঙে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি মন্দির। এছাড়া নমাজ বা আজানের সময় দুর্গাপুজোর সমস্ত সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখার কথা মন্দির ও প্যান্ডেলগুলোকে জানিয়েছিল ইউনুস সরকার।তাই মনে ভয়ে, আশঙ্কা, উদ্বেগ নিয়েই শুরু হয়েছিল এবছরের পুজোর প্রস্তুতি। কিন্তু দুর্গাপুজো নিয়ে হিন্দুদের নানা হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এমনকী পুজো উপলক্ষে বাংলাদেশের খুলনার দাকোপ উপজেলার ৫টি মন্দিরে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়ে উড়ো চিঠি পাঠানো হয় বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার এই বার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ন।