নিউজ ডেস্ক ::বাংলার অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রীরামপুরের রাজ বাড়ির পুজো। সেই রাজা বা রাজত্ব এখন আর নেই কিন্তু পুজো চলেছে একইভাবে। একসময় দুর্গাপুজোয় রাজবাড়ির অন্দরে গান গেয়ে আসর জমিয়েছিলেন অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি থেকে শুরু করে ভোলা ময়রা, রূপচাঁদ পক্ষীর মত শিল্পীরা। পুজোর সময় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল সকলের জন্য। আজ সেই সমস্ত আরম্ভর না থাকলেও রাজবাড়ির পুজোর ঐতিহ্য কিন্তু আজও একই ভাবে বর্তমান। আর এই পুজো দেখেছেন সুভাষচন্দ্র বসু থেকে সত্যজিৎ রায়, মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে চিত্তরঞ্জন দাস।
একটা বেশ প্রচলিত কিংবদন্তি হলো – যে সময়ে দিল্লির সিংহাসনে আকবর শাসন করতেন, সেই সময়ে পাটুলি থেকে ব্রাহ্মণ রাম গোবিন্দ গোস্বামী তাঁর পরিবার নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে রামবাবুর গর্ভবতী স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। শ্রীরামপুরের তীরে স্ত্রীকে নিয়ে নামেন রাম গোবিন্দ। জায়গাটি তাঁর বড় ভালো লেগে যায়। শেওড়াফুলির রাজা মনোহর রায়ের কাছে রাম গোবিন্দ অনুমতি চান শ্রীরামপুরে থাকার জন্য, কারণ রাজার অধীনেই তখন শ্রীরামপুর ছিল। তিনি অনুমতি দিলে সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন ও শুরু হয় রাজবাড়ির পুজো। এ বছর সেই পুজোর ৩৫০ বছর পূর্তি হলো। আগে পুজোর সময় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল সকলের জন্য। এখন অবশ্য তত আড়ম্বর নেই কিন্তু আছে আন্তরিকতা।