রসায়নে নোবেল পাচ্ছেন – ডেমিস হাসাবিস, জন এম জাম্পার ও ডেভিড বেকার।

নিউজ ডেস্ক ::বিশ্বের সেরা পুরস্কারের মধ্যে অবশ্যই নোবেল প্রধান। সেই পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকে সারা বিশ্ব। ইতিমধ্যে মেডিসিনে নোবেল ঘোষণা হয়েছে। এবার রয়াসনবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করল ‘দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।’ তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে পুরস্কার প্রাপক হিসেবে। প্রোটিন সায়েন্স নিয়ে গবেষণার জন্য নোবেল পাচ্ছেন ডেমিস হাসাবিস, জন এম জাম্পার ও ডেভিড বেকার। সিয়াটেলের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড বেকার ‘কম্পিউটেশন প্রোটিন ডিজাইন’-এর জন্য পুরস্কৃত হলেন। এছাড়া প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন-এর জন্য লন্ডনের ‘গুগল ডিপমাইন্ড’-এর ডেমিস হাসাবিস, জন এম জাম্পার এই পুরস্কার পাচ্ছেন। তিনজন বিজ্ঞানীর এই স্বীকৃতিতে খুশি বিশ্ব বিজ্ঞানী মহল।

এই নিয়ে যাতে কোনো বিতর্ক তৈরী না হয় তাই নোবেল কমিটির (রসায়ন)-এর চেয়ারম্যান হাইনার লিঙ্কে জানিয়েছেন, ‘৫০ বছরের পুরনো স্বপ্ন সত্যি হল। প্রোটিন স্ট্রাকচার ও অ্যামিনো অ্যাসিড সিকোয়েন্স সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব হল। এই আবিষ্কারের ফলে রসায়নের গবেষণায় অনেক দিক উন্মোচন হল।’ জানা গিয়েছে, ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার এআই মডেল তৈরি করে ৫০ বছরের পুরনো সমস্যার সমাধান করেছেন। প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক ছবি প্রেডিক্ট করে এই আবিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে, ডেভিড বেকার একটি নতুন প্রোটিন আবিষ্কার করে এই পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০৩ সালেই বেকার একটি নতুন প্রোটিন আবিষ্কার করেছিলেন। তারপর থেকে একের পর এক নতুন প্রোটিন তৈরি করেছে তাঁর রিসার্চ টিম, যেগুলি ওষুধে, ভ্যাকসিনে, সেন্সরে ব্যবহার করা হয়েছে। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রোটিন ছাড়া জীবনের কোনও অস্তিত্ব থাকত না। তাই এবার প্রোটিন সম্পর্কে অনুমানও করা যাবে, নতুন প্রোটিনও তৈরি করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *