৩ ঘন্টা মিটিংয়ের পরেও অধরা সমাধান সূত্র

নিউজ ডেস্ক ::জুনিয়র ডাকরাতদের সঙ্গে প্রায় ৩ঘন্টা মিটিং করে রাত ১টার সময় বেরিয়ে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
তাঁরা বলেছেন, পুজো নিয়ে বেশি চিন্তিত সরকার। অনশনকারী ডাক্তারদের নিয়ে চিন্তা নেই তাঁদের। পুজোয় ইমেজ রক্ষা করাই সরকারের কাছে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আলোচনা করতে এসেছিলাম। আমাদের আগের মেইলের উত্তর পাওয়া যায় নি। তারা বলছেন মিস কমিউনিকেশন হয়েছিল। সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম হয়ে গেছে তারা বলেছেন। ওনারা বলছেন পুজো কেটে যাক। আমাদের অনশনকারীদের তুলতে বলছেন। আমরা বলেছি, আপনারা আসুন। তারা নাকি কিছুই জানতেন না। মুখ্য সচিব আগের দিন যা বলেছেন তাই আজ বলেছেন। কি করে আমরা অনশন তুলব? আমরা তো কোনও আশ্বাস পেলাম না। খালি বলছেন পুজোর পরে। ওনাদের সদিচ্ছার অভাব।

যদিও সরকার পক্ষ অন্য কথা বলছে। তারা বলছেন, মিটিং ইতিবাচক হয়েছে। বিস্তারিত কথা বলেছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যা যা কাজ এগিয়েছে তা বলেছি। সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম নিয়ে কথা বলেছি। ১৫ অক্টোবর পাইলট প্রজেক্ট নিয়ে বলেছি। ওরা ইনপুট দিয়েছে। পয়লা নভেম্বর থেকে চালু করার পরিকল্পনা। প্রায় ১৫০০ নিরাপত্তা রক্ষী নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ভেরিফিকেশন করে ট্রেনিং হচ্ছে সাত দিনের। দ্রুত নিয়োগ চাওয়া হচ্ছে। ওরা ছাত্র সংসদ ভোট চাইছে। ওরা এর সময়সীমা চাইছে। আমরা বলেছি অনশন তুলে নেওয়ার জন্য । কথা বলে সব জানানো হবে। আমরা অনুরোধ করেছি। কারণ কাজ এগোচ্ছে। তিনি বলেছেন, আমরা অনশন তুলতে বলেছি। ওরা এক্ষুনি ডেটলাইন চাইছে। আশা করি ওরা বুঝেছে। ইতিবাচক গঠনমূলক হিসাবে দেখবেন। আমরা বলেছি একদিনে সব হবে না। প্রয়োজনে আবার বসব। সেটা তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে। প্রয়োজনে কথা হবে আবার। আর মিটিং তো বসেছি সেখানে তো আলোচনাই হয়। একটা মিটিং নিয়ে বিশ্বাস রাখতে হবে তো। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *