নিউজ ডেস্ক ::রাজনীতির সৌজন্য একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। তা না হলে একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ কখনো একজন ছোট আনশনরত চিকিৎসক সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারে! ঘটনা হলো, অনিকেত মাহাতো অসুস্থতার নাটক করছেন। নাটক করেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। ‘সূত্র’ উদ্ধৃত করে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, ‘সিপিআইএমের নাটকবাজি দেখার অনিচ্ছায় আগেই ধর্মতলা থেকে আরজি করে চলে গিয়েছিল এসইউসির অনিকেত। একদিন পরে অনশনে এসে সকলের আগে অসুস্থ হওয়ার পরিস্থিতি ওঁর ছিল না।’ স্বাভাবিক কারণেই তার এই মন্তব্যে প্রবল ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তারেরা।
একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ হিসাবে কুনাল ঘোষের কাছ থেকে কিছুটা সৌজন্য আশা করেছিল মানুষ। এমনিতে গত ৫ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ছয়জন জুনিয়র ডাক্তার। প্রাথমিকভাবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের কোনও প্রতিনিধি আমরণ অনশন শুরু করেননি। রবিবার (৬ অক্টোবর) থেকে অনশনে যোগ দেন আরজি কর হাসপাতালের তথা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ অনিকেত। তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেদিন রাতেই তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর যুদ্ধ করতে মাঠে নেমে পারেন কুনাল ঘোষ।
তাঁর পোষ্ট ঘিরে হয়ে চলেছে অনেক মন্তব্য। এক নেটিজেন বলেন, ‘সবাই কি আর চকোলেট, চিকেন স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করেন? ছেলেটা শেষ তিন মাস ধরে ফ্রন্টলাইন থেকে লড়ছে। কী অসম্ভব স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এটা স্বাভাবিক যে ওর শরীর খারাপ হবে।’ একজন আবার বলেন, ‘অনিকেত পারেনি। কারণ চকোলেট, জ্যুস, স্যান্ডউইচ সমৃদ্ধ অনশন ও করেনি। আর নাটকের তো সবে প্রথম অংশ দেখছেন। মা দুর্গার আড়ালে চারদিন তো কাটালেন। এবার জবাবদিহির সময়।’ এই মুহূর্তে চলেছে আনশন আন্দোলন। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, স্নিগ্ধা হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা, পুলস্ত্য আচার্য, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং সায়ন্তনী ঘোষ হাজরাদেরও শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। তাঁদের রক্তচাপ ওঠানামা করছে। মূত্রে কিটোন বডির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।