দশমীকে কেন ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়?

নিউজ ডেস্ক ::আজ দশমী তিথি। বাঙালির চোখের জলে আজ শেষ হতে চলেছে এই বছরের উৎসব। কিন্তু একটা প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই আছে যে কেন দশমীকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়? পুরাণে মহিষাসুর বধ কাহিনীতে লেখা রয়েছে,মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন দুর্গা। নারী শক্তির এই জয়লাভকেই ‘বিজয়া’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আবার, শ্রী চণ্ডীর কাহিনী অনুসারে, দেবী আবির্ভূত হন আশ্বিন মাসের কৃষ্ণাচতুর্দশী-তে। মহিষাসুর বধ করেন শুক্লা দশমীতে। তাই দশমীতে এই বিজয়কেই চিহ্নিত করে বলা হয় ‘বিজয়া দশমী।

এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে উত্তর ভারাতের ‘দশেরা’ উৎসব। আজকের এই বিজয়া দশমীর দিনে উত্তর ও মধ্য ভারতে উদযাপিত হয় দশেরা। যদিও তার তাৎপর্য কিছুটা আলাদা। সংস্কৃত শব্দ ‘দশহর’ থেকে ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি। যা সূচিত করে দশানন রাবণের মৃত্যু-কে। বাল্মিকী রচিত রামায়ণে কথিত, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতেই রাবণ বধ করেছিলেন রাম। রাবণ বধের পর ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন সস্ত্রীক রামচন্দ্র। তাই এই দিনটিকে দশেরা বা দশহরা হিসেবে পালন করা হয় উত্তর ও মধ্য ভারতের কিছু জায়গায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *