নিউজ ডেস্ক ::এটাই প্রকৃত ভারতবর্ষ। এখানে ছড়িয়ে আছে অজস্র মন্দির। সেই সব মন্দিরের উপস্য দেবতারা সবাই যে বৈদিক দেবতা এমন নয়। এমনি এক মন্দির আছে রাজস্থানের দৌসা জেলা। রাজধানী শহর জয়পুর থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূর।এখানেই রয়েছে প্রাচীন মন্দিরটি। শোনা যায়, এক সময় ১২ জন পুরোহিত এখানে পুজো করলেও এখন ৩ জন সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ভিড় হয় যথেষ্ট। তবে এই মন্দিরের বৈশিষ্ট্য কিন্তু অন্য জায়গায়।
এই মন্দিরের উৎপত্তি নিয়ে আছে নানা কিংবদন্তি। মনে করা হয় যেখানে মন্দিরটি রয়েছে ঠিক সেই জায়গায় এক রাজা খুন হন। রাজার অতৃপ্ত আত্মা বারংবার বালাজির কাছে এসে মুক্তির আবেদন জানাতে থাকে। রাজার প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে বালাজি এখানে নিজের দরবার বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। অতৃপ্ত আত্মা ও ভূতে পাওয়া মানুষদের বিচার করার ভার নেন তিনি। নিজের দরবার যথাযথ ভাবে চালানোর জন্য প্রেতরাজ ও বাবা ভৈরবকে যুক্ত করেন। অন্য একটি মতে, এক পুরোহিত স্বপ্নে দেখেন বালাজি মাটিতে পোঁতা একটি মূর্তি উদ্ধার করতে আদেশ দেন তাঁকে। মন্দিরে বালাজি, ভৈরব, ও প্রেতরাজ সরকার একসঙ্গে পূজিত হন। ভক্তদের দাবি এই ত্রয়ীর কৃপাতেই ‘ভূতে’র হাত থেকে রক্ষা পায় লাখ লাখ ‘অসুস্থ’। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘ভূতে পাওয়া’ মানুষরা এখানে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে যান। আর সেই কারণেই মেহেন্দিপুরে ভক্তদের ঢল নামে!