ঘূর্ণিঝড় কি বাংলায় প্রভাব ফেলবে?

নিউজ ডেস্ক ::বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সপ্তাহেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মুখোমুখি হতে পারে। দীপাবলীর সময় পরিস্থিতি কেমন থাকবে? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজ্য সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এই বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন। জেলাশাসকদের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা সেরেছেন। এ কথা জানা গিয়েছে। এখন থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করতে হবে। এই কথা নবান্নের তরফে জেলা প্রশাসনগুলিকে জানানো হয়েছে বলে খবর।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে। ক্রমে সেই নিম্নচাপ আরও শক্তিধর হবে। অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। তারপর সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। সেই দুঃসংবাদ শোনা গিয়েছে আন্তর্জাতিক মডেলের অনুমান অনুসারে। তাই নিয়েই এখন দু:শ্চিন্তা ছড়িয়েছে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায়।

ঘূর্ণিঝড় হলে তার শক্তি কেমন হবে? স্থলভাগের কোথায় আঘাত করবে? ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন হবে? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। মধ্য বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রমে শক্তিশালী হয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে এই ঘূর্ণিঝড়। সেই কথাই অনুমান করা হচ্ছে।

অনুমান করা হচ্ছে, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ ঘূর্ণিঝড়ের লক্ষ্য হতে পারে। বাংলাদেশের উপরেও আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিমবঙ্গের উপর তার প্রভাব কতটা পড়বে? পশ্চিমবঙ্গের উপর তার অভিমুখ থাকবে কী না। সেই সম্পর্কে এখনও যথাযথ কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে উপকূল ও গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ এলাকায় প্রভাব যে পড়বে, সে কথা বলাই যায়।

সেই হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকার জেলাগুলিকে এখন থেকেই তৈরি থাকতে বলা হচ্ছে। নবান্নের তরফ থেকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বৈঠক করেছেন জেলাশাসকদের সঙ্গে। উপকূল এলাকাগুলিতে বাঁধের যাতে কোনও সমস্যা থাকে, সেই কথা বলা হয়েছে। বাঁধগুলির পরিস্থিতি যাতে আগে খতিয়ে দেখা হয়। সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

ত্রাণ শিবিরের জন্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ত্রাণ মজুত করা। ফ্লাড সেন্টারগুলিকে তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। মৎস্যজীবীরা যাতে আবহাওয়া দফতরের বার্তা শুনে পদক্ষেপ করে। সেই কথাও জানানো হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে। অনেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরছেন। তাদেরও ফিরে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *