নিউজ ডেস্ক ::মুখ্যমন্ত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের মিটিং শেষ। সমস্ত আলোচনা খুবই সুন্দর পরিবেশে হয়েছে। তবে মাঝে মাঝেই দুই পক্ষ থেকেই কিছু নরম-গরম সংলাপও ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে আলোচনা ভালো হয়েছে। মমতা তাদের বলেন, “আন্দোলন করেছো, ভালো করেছো। তোমাদের অধিকার আছে। আমি রোজ তোমাদের খবর নিই। আমি যখন অনশন করেছিলাম। সরকারের কেউ আসেনি। আমি রোজ তোমাদের খোঁজ নিয়েছি। আমার অনুরোধ সুস্বাস্থ্য পরিবেশ গড়ে তুলতে অনশন ও ধর্মঘট তুলে নাও। তোমরা কাজে যোগ দাও।” এর পরেই তিনি যোগ করেন, ‘আন্দোলন শুরু করলে,আন্দোলন শেষ করতে জানতে হয়।’পরেই মমতা জানান, ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়েও তিনি কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমি তো আজকেও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে। তোমাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ছিল, আছে, থাকবে।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগ সামনে নিয়ে আসেন।
ইতিমধ্যে খবরে প্রকাশ বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার একদিকে আন্দোলন করছে আবার অন্যদিকে প্রাইভেট হসপিটালে গিয়ে প্রাকটিসও করছে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই তিনি বলেন, কর্মবিরতি পালন করলেও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করে লাখ লাখ টাকা আয়ের অভিযোগ আসছে জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে! তাঁর কথায়, “৫৬৩ জন যারা স্ট্রাইক করেছেন, যারা প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর টাকা নিয়েছেন। তোমরা চাইলে তোমাদের লিস্ট পাঠিয়ে দেব।” তবে মিটিংয়ের শেষে খুবই স্নেহ ভরা কন্ঠে তিনি বলেন, “তোমাদের প্রতি আমার ভালোবাসা থাকবে। আমার কাছে রং নেই। তোমাদের অন্য কোনও পরিচয় আমার কাছে নেই। আমি যদিও সব জানি।” তিনি বলেন, স্বাস্থ্যর দিকে লক্ষ রেখো। আনশন তুলে কাজে যোগ দাও। আর সমস্ত দাবি আমার উপর ছেড়ে দাও। মমতা সাফ জানিয়ে দেন, “কেউ কাউকে থ্রেট করবে না। আজ আমি পাওয়ারে মানে থ্রেট করলাম। কাল তুমি পাওয়ারে মানে আমাকে থ্রেট করা হল। সেটা হতে পারেনা।”