নৈহাটির ‘বড়োমা কালী’ – ইতিহাস ও ঐতিহ্যর খোঁজে

নিউজ ডেস্ক ::বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বনের অন্যতম হলো কালী পুজো। আর বাংলায় আছে অজস্র প্রতিষ্ঠিত কালী ঠাকুর। এরমধ্যে একটি কালী মন্দির – নৈহাটির বড়োমা কালী পুজো। স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে, ভবেশ চক্রবর্তী ও তাঁর চার বন্ধু মিলে নবদ্বীপে ভাঙা রাস দেখতে যান। সেখানে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে চোখ ওঠে কপালে। বিস্মিত হয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে নৈহাটিতে একটি রক্ষাকালী মূর্তিকে বিশালাকার মূর্তি গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কথিত আছে, এই পুজো ভবেশ চক্রবর্তী স্থাপন করেছিলেন, তাই এই দেবীকে ভবেশ কালীও বলা হয়। প্রথমে সকলে ভবেশ কালীই বলে ডাকতেন, তারপর বিশালাকার মূর্তিকে বড়মা বলে অভিহিত করেন। নৈহাটিতে বড়মায়ের একটি স্থায়ী মন্দির রয়েছে। সেখানে নিয়মিত পুজো হলেও পূর্বে যে জায়গায় রক্ষাকালী পুজো করা হত কালীপুজোয়, সেখানেই প্রতিবছর মৃন্ময়ী রূপে প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেখানেই পুজো করা হয়।

ভক্তদের কাছে এই বড়ো মা খুবই জাগ্রত দেবি। প্রতিদিন বহু দূর থেকে বহু মানুষ আসেন এই বড়োমা কালী দর্শনে। আর কালী পুজোর দিন তো হাজার হাজার মানুষের ঢল নামবে। এই কালী মূর্তির আকারে ও উচ্চতায় বিরাট, প্রায় ২১ ফুটের কাছাকাছি উচ্চতা। শুধুই মূর্তিটি প্রায় ১৪ হাত উঁচু। এই কারণে এই দেবীকে বড়মা বলে ডাকেন সকলে। নৈহাটির বড়মায়ের গায়ে গয়না দেখলে অবাক হতে হয়। কারণ গোটা মূর্তিই সোনা-রূপার বিভিন্ন আকারের গয়নায় মোড়া থাকেন। শোনা যায়, বড় মা সোনা ও রূপা ছাড়া আর কোনও ধাতুর অলঙ্কার পরেন না। তাই ভক্তরাই মনোবাসনা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন সময় সোনা ও রুপোর গয়না মানত হিসেবে দিয়ে থাকেন। হিসেব বলছে, প্রায় দেড় কোটি টাকার গয়না পড়েন বড় মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *