নিউজ ডেস্ক ::এই মুহূর্তে রাশিয়ার কাজান শহরে ১৬তম ব্রিকস সম্মেলন চলেছে। সেখানে উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে এক হাত নিলেন।বুধবার তিনি বলেন, “আমরা আলোচনা এবং কুটনৈতিক পদক্ষেপের পক্ষে, যুদ্ধের পক্ষে নই।” আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ভাবে দাঁড়াতে হবে আমাদের, দ্বিচারিতার স্থান নেই।” মনে করা হচ্ছে ‘দ্বিচারিতা’র কথা বলে পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়েছেন মোদি। এইসঙ্গে যে কোনও ধরনের হিংসা এবং হিংসায় মদত দিতে আর্থিক আনুকূল্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদী স্পষ্ট করেই বলেন, সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া ও শান্তি এক সঙ্গে চলতে পারে না।
ওই সম্মেলন থেকেই একটা কথা সকলেই স্বীকার করে যে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে একমাত্র ভারতের শান্তির বাণী। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে ভারত। ঠিক সেই সময় যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ তথা হিংসার বিরুদ্ধে ব্রিকস-ভাষণে গলা তুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আমাদের অবশ্যই সংকল্প ও ঐক্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে। এই ধরনের গুরুতর বিষয়ে দ্বিচারিতার কোনও অবকাশ নেই। আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে মৌলবাদ যাতে সক্রিয় না হয়, সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে।” রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস সম্মেলনে ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ান। এছাড়াও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সেক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে চিনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রথমবার বৈঠক করতে চলেছেন মোদি।