নিউজ ডেস্ক ::এক বছর বা দু’বছর নয়, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ঝুলে আছে উচ্চ-প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১৬ সালের উচ্চ-প্রাথমিকে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে সুুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার এক রায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই নিয়োগপ্রক্রিয়া কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না সর্বোচ্চ আদালত। সেখানে তিনি দাবি করেন, এই নিয়োগপ্রক্রিয়া সংরক্ষণ বিধি মেনে হচ্ছে না। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে নিয়োগ হবে। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট।শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বাংলা যে কলঙ্কিত ইতিহাস তৈরী করেছে, তা হয়তো ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। কিন্তু একটা জায়গায় তো এসে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
ইতিমধ্যে এই নিয়োগ নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। বাংলার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এখনও জেলে। তাঁর বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূলের আরও একাধিক MLA, নেতারা। ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতার অভিযোগে ২০২০ সালে নিয়োগপ্রক্রিয়াকে বাতিল ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২৩ সালে নতুন করে প্যানেল প্রকাশ করে SSC. সেখানে তারা দাবি করে OMR শিটে ভুল থাকায় প্রায় ১৪০০ জনের নাম প্যানেল থেকে বাদ পড়েছে। এর পর বাতিল চাকরিপ্রার্থীরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত অগাস্টে ১৪ হাজার জনকেই নিয়োগ দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে,আর নয়, এবার শুরু হোক নিয়োগ প্রক্রিয়া। যদিও নাগরিক মহলের ধারণা, এর মধ্যেই আছে অনেক বেনোজল।